রনির বোলিং তোপে বিধ্বস্ত সিলেট বিভাগ

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে সিলেট বিভাগের থেকে ৬৪ রানে পিছিয়ে আছে ঢাকা মেট্রো। দ্বিতীয় দিন ১ উইকেটে ৫ রান নিয়ে খেলা শুরু করার পর আবু হায়দার রনির বোলিং তোপে ৩১৯ রানে অলআউট হয় সিলেট। মাত্র ৫৫ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন বাঁহাতি পেসার রনি। ৪৮ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়ে সানিকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন ডানহাতি পেসার শহিদুল ইসলাম।
সিলেট ৩১৯ রানে অলআউট হওয়ায় ৭৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে আরাফাত সানির ঢাকা মেট্রো। এরপর খেলতে নেমে বিনা উইকেটে ৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে তারা। দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম এবং রাকিন আহমেদ অপরাজিত আছেন যথাক্রমে ৯ ও ১ রানে।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে রনি এবং শহিদুলের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনেও হাফ সেঞ্চুরি করেন অধিনায়ক অলক কাপালি, ওপেনার তৌফিক খান, বাঁহাতি ব্যাটসম্যান জাকির হাসান এবং উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান জাকের আলি।
১০০ বলে ৫৪ রান করেন অধিনায়ক কাপালি। যেখানে জাকের এবং জাকির উভয়ই খেলেন ৭১ রানের ইনিংস। এছাড়াও ৬১ রান আসে তৌফিকের ব্যাট থেকে। চার হাফ সেঞ্চুরিতে শেষ পর্যন্ত ৩০০ ঊর্ধ্ব রান তোলে সিলেট। ঢাকা মেট্রোর পক্ষে রনি এবং শহিদুল ছাড়াও আমিনুল ইসলাম ও আল-আমিন একটি করে উইকেট পান।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ঢাকা মেট্রো নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৪৬ রানে অলআউট হয়। মেট্রোর হয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৩৮ রান তোলেন নাঈম শেখ এবং রাকিন আহমেদ। এরপরেই শুরু হয় বিপর্যয়। রেজাউর রহমানের বলে ফিরে যান রাকিন আহমেদ (১৭)।

এরপর শামসুর রহমানকে শূন্য রানে বিদায় করেন স্পিনার এনামুল হক জুনিয়র। তারপর নাঈম শেখকে (২৩) ফেরান রেজাউর রহমান। ৪৩ রানের মধ্যেই তিন উইকেট হারায় মেট্রো।
দ্রুত তিন উইকেট হারানোর পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ৪০ রানের জুটি গড়েন আল আমিন। এরপর এনামুল হক জুনিয়রের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন আল আমিন। ফেরার আগে করেন ২০ রান। জাবিদ হোসেনও (১২) এ দিন বেশীক্ষণ উইকেটে ছিলেন না।
একপাশে লড়তে থেকে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। মাহমুদউল্লাহ হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর ফিরে যান আমিনুল ইসলাম (৩)। রেজাউর রহমানের তৃতীয় শিকার তিনি।
আগের ম্যাচে চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে ৬৩ রানে আউট হয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এবারের জাতীয় লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডেও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। ১০৮ বলে আটটি চারে ৬৩ রান করে রেজাউর রহমানের চতুর্থ শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার।
দলীয় ১৫১ রানে সাত উইকেট হারানোর পর পেসার শহিদুল ইসলামের দৃঢ়তায় আড়াইশ রানের কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছে ঢাকা মেট্রো। চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে ৮৩ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলার পর এই ম্যাচেও হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান শহিদুল।
শেষ উইকেট হিসেবে ফিরে যাওয়ার আগে তাঁর ব্যাটে আসে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় ৫৪ রান। শেষদিকে তাঁকে উপযুক্ত সঙ্গ দেন আবু হায়দার রনি (২৫)। সিলেটের হয়ে ৭৫ রান খরচায় চার উইকেট নেন ২০ বছর বয়সী ডানহাতি পেসার রেজাউর।
এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ইমতিয়াজ হোসেনের (০) উইকেট হারায় সিলেট। তাঁকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন আবু হায়দার। আরেক ওপেনার তৌফিক খান (১*) আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ- (দ্বিতীয় দিন শেষে)
ঢাকা মেট্রো প্রথম ইনিংসঃ ৮৩.৪ ওভারে ২৪৬/১০ (মাহমুদউল্লাহ ৬৩, শহিদুল ৫৪; রেজাউর ৪/৭৫)
সিলেট বিভাগ প্রথম ইনিংসঃ ৮৪.৫ ওভারে ৩১৯ (অলআউট) (জাকের ৭১, জাকির ৭১*; আবু হায়দার ৫/৫৫)
ঢাকা মেট্রো দ্বিতীয় ইনিংসঃ ৭ ওভারে ৯/০ (নাঈম ৮*, রাকিন ১*; আফিফ ৪/০)