যেকোনো উইকেটের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে ভারতকে!

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ঘরের মাঠে বরাবরই স্পিন বান্ধব উইকেট বানিয়ে সফল হয়েছে ভারত। এ কারণে কোনো সময়ই উপমহাদেশের বাইরের দলগুলো ভারতে এসে সুবিধা করতে পারে না। এবার ভিন্ন উইকেট বানিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা বধ করেছে ভারত।
যদিও বিরাট কোহলিদের বোলিং কোচ ভারত অরুণ জানিয়েছেন, তাঁরা এমন উইকেট চাননি। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে একাই ৭ উইকেট নিয়ে ধসিয়ে দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। রবীন্দ্র জাদেজা নেন ২টি উইকেট। পেস বোলারদের মধ্যে একটি উইকেট দখল করেন মোহাম্মদ শামি।
প্রথম ইনিংসে পেস বোলাররা খুব বেশি সফল হতে না পারলেও এই উইকেটকে ফ্ল্যাট উইকেট বলছেন ভারতের এই বোলিং কোচ। বিশ্বের এক নম্বর দল হিসেবে ভারতকে যেকোনো উইকেটেই খেলতে হবে বলে মনে করেন অরুণ। যেকোনো উইকেটে খেলার অভিজ্ঞতা থাকলে বিদেশের মাটিতে খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না ভারতের বোলারদের, এমনটাই বিশ্বাস তাঁর।

অরুণ বলেছেন, ‘আমরা যে রকম উইকেট পেয়েছি এ রকম উইকেট চাইনি। বিশ্বের এক নম্বর দল হিসেবে যেকোনো উইকেটকেই স্বাগত জানাতে হবে আমাদের এবং যে কোনো উইকেটেই খেলতে হবে। এমনকি আমরা দেশের বাইরে খেলতে গেলেও উইকেট পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’
ভারতের পেসাররা যেকোনো উইকেটের বল রিভার্স করাতে পারেন বলে মনে করেন অরুণ। মূলত ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে সব ধরনের উইকেটে খেলার অভিজ্ঞতা থাকায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও তাঁরা সফল হচ্ছেন বলে ধারণা ভারতের এই বোলিং কোচের।
অরুণ বলেন, ‘আমাদের বোলারদের রিভার্স সুইং করার সামর্থ্য আছে, এমনকি ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার সময় থেকেই। উইকেট সাধারণত ফ্ল্যাট ছিল। আউটফিল্ডও সেরা অবস্থানে ছিল না। সফল হওয়ার জন্য পেস বোলারদের শিখতে হবে কীভাবে বল রিভার্স করাতে হয় এবং এই জায়গায় আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের অনেক অবদান আছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে ৫টি উইকেট দখল করেছেন পেসার মোহাম্মদ শামি। এ ছাড়া অন্য পেসাররাও ভালো পারফরম্যান্স করেছেন। শুধু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নয়, ভারতীয় পেসারদের গত কয়েক বছরের পারফরম্যান্স নিয়েই সন্তুষ্ট কোহলিদের বোলিং কোচ।
তিনি বলেছেন, ‘এখানে অবশ্যই পেসারদের নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণের সুযোগ রয়েছে এবং আমাদের পেসাররা গত কয়েক বছর ধরেই ভালো পারফরম্যান্স করছে দেশে এবং দেশের বাইরে। ভারতের উইকেট বেশিরভাগ সময়ই স্পিন সহায়ক হয় এবং তখন তাদের রিভার্স সুইংয়ের জন্য কষ্ট করতে হয়।’