|| ডেস্ক রিপোর্ট || 

বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটি (সিএসি) থেকে পদত্যাগ করেছেন কপিল দেব। দুদিন আগেই স্বার্থের সংঘাত ইস্যুতে চিঠি দেয়া হয়েছে ভারতের সাবেক অধিনায়ক কপিল দেবকে। এরপরেই বিসিসিআইকে নিজের পদত্যাগের কথা জানান কপিল।

ভারতের ৮৩'র বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক কপিলকে এই চিঠি পাঠিয়েছেন বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) এথিক্স অফিসার ডি কে জাইন। কপিল দেবের সঙ্গে বিসিসিআইয়ের চিঠি পান সিএসির আরও দুই সদস্য আংশুমান গায়কোয়াড় এবং শান্তা রঙ্গস্বামী।

১০ অক্টোবরের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে সিএসির এই তিন সদস্যকে। যদিও নোটিশ পাওয়ার পরই সিএসির পদ ছেড়েছেন শান্তা রঙ্গস্বামী। এবার দায়িত্ব ছাড়লেন কপিল।

এর আগে স্বার্থের সংঘাতের ইস্যুতে কপিলসহ বাকি দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন মধ্য প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার সদস্য সঞ্জীব গুপ্ত। মূলত তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই চিঠি পাঠিয়েছেন জাইন। সঞ্জীবের অভিযোগ এই তিন সাবেক ক্রিকেটারই একই সঙ্গে বিভিন্ন পদের সঙ্গে যুক্ত। ফলে স্বার্থের সংঘাতের প্রশ্ন উঠিয়েছেন তিনি।

তিনি জানিয়েছেন, কপিল এই মুহূর্তে টিভি ধারাভাষ্যের সঙ্গে যুক্ত। তাছাড়া একটি ব্যবসায়িক সংস্থার মালিক। একই ধরনের অভিযোগ উঠেছে সাবেক ওপেনার আংশুমান গায়কোয়াড়ের বিরুদ্ধেও। গায়কোয়াড়ের নিজস্ব অ্যাকাডেমি রয়েছে। তাই তিনিও ক্রিকেট পরামর্শদাতা কমিটিতে থাকতে পারেন না।

কপিল, আংশুমান ও শান্তা ভারতের নারী পুরুষ উভয় দলের প্রধান কোচ নির্বাচন করেছেন। এমন গুরুদায়িত্ব সামলানোর পর এই নোটিশ মেনে নিতে পারছেন না তারা। এ কারণেই অভিমানী অবসর নিয়েছেন দুজন।

কিছুদিন আগে স্বার্থের সংঘাত ইস্যুতে নোটিশ দেয়া হয়েছিল দুই সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলি এবং রাহুল দ্রাবিড়কেও। নোটিশ পাওয়ার পর অবশ্য বিসিসিআইকে কারণ দেখিয়েছেন গাঙ্গুলি এবং দ্রাবিড়।