বিপ টেস্টে পাস না করে পার পাচ্ছেন না ক্রিকেটাররা

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
জাতীয় লিগ খেলতে হলে ফিটনেসের পরীক্ষায় অন্তত ‘১১’ পেতেই হবে ক্রিকেটারদের। এই সিদ্ধান্তে অটল থাকছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মঙ্গলবার বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের বিপ টেস্ট হয়েছে।
আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বাকি ক্রিকেটাররাও এই পরীক্ষা দেবেন। এই পরীক্ষা না দিয়ে কোনো ক্রিকেটার পার পাচ্ছেন না। এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির ফিটনেস ট্রেনার তুষার হাওলাদার।

যতদিন এই পরীক্ষায় পাস করতে না পারবেন ক্রিকেটাররা, ততদিন তাঁরা ঘরোয়া লিগে খেলতে পারবেন না। কেউ ব্যক্তিগত ভাবে পরে দিতে চাইলে তাদের পরীক্ষা পরে নেয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন বিসিবির এই ট্রেনার।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, 'সবার জন্যই উন্মুক্ত। যতদিন পর্যন্ত তাঁরা টেস্টে পাস করতে ততদিন পর্যন্ত তাঁরা খেলতে পারবে না। যেদিন তাঁরা পাস করবে সেদিন তাঁরা খেলতে পারবে। এজন্য যেই খেলবে তাঁকে এই পরীক্ষায় পাস করে যেতে হবে। সেই ক্ষেত্রে একটা সময় আমরা ফাকে ফাকে টেস্ট করব। কেউ যদি ব্যক্তিগত ভাবে পরে দিতে চায় তাহলে সে সময়ও নেয়া হবে।'
জাতীয় লিগের গত আসরের আগেও ক্রিকেটারদের বিপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছিল বিসিবি। সেবার ৯ পয়েন্ট পেলেই সুযোগ দেয়া হয়েছিল ঘরোয়া ক্রিকেটে। এবার ক্রিকেটারদের অন্তত ১১ পেতে হবে। যে ক্রিকেটারদের বিপ টেস্ট হয়েছে, তাদের বেশিরভাগের পারফরম্যান্সেই সন্তুষ্ট বিসিবির ট্রেনার তুষার।
তিনি বলেছেন, 'সব মিলিয়ে খুবই ভালো। আমরা যে ভাবে আশা করেছিলাম এর চেয়েও ভালো করেছে। যদিও অনেকেই ভাল করেনি। এটাই স্বাভাবিক। সবার দৌড়ানোর ক্ষমতা একই রকম না। একেক জন একেক রকম মাসল ফিটনেস নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে। তাদের দৌড়ানোর ক্ষমতাও ওইভাবেই থাকে। এর জন্য ফিটনেস লেভেলে ওরা ভালো করেছে গত বারের চেয়ে।'