মাঠ সঙ্কটে বাংলাদেশের ক্রিকেট

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
আগামী ১০ দিনের মধ্যে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নতুন মৌসুম। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) এবং পরবর্তী কয়েক মাসের মধ্যে আয়োজিত হবে মেয়েদের তিনটি টুর্নামেন্ট। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিপিএল), বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) রয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে, আসন্ন এই মৌসুমে ব্যস্ত সময় কাটাবে দেশের ক্রিকেট।
ঘরোয়া ক্রিকেট এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট; সব স্তরে ম্যাচের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু এতে বিপাকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মাঠ ব্যবস্থাপনা কমিটি। ম্যাচ আয়োজনের জন্য মাঠের সঙ্কটে পড়তে হবে তাদের।
বাংলাদেশে মাঠের স্বল্পতা নতুন কিছু নয়। কিছু মাঠে আন্তর্জাতিক মানের সুবিধাও নেই। আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে আসা দলগুলো কয়েকটি নির্দিষ্ট মাঠেই খেলে থাকে। প্রতিবছরই নতুন লিগ এবং টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে বিসিবি। কিন্তু মাঠের সঙ্কট এখনো কমাতে পারেনি দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটি।

এবছর তিনটি নতুন টুর্নামেন্ট যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। যা স্বভাবতই মাঠের সংকট আরও বাড়িয়ে দেবে। বিসিবির সূত্র থেকে জানা গেছে, বিসিবির উইমেন্স উইং নতুন মৌসুমে মেয়েদের জন্য তিনটি টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) মতো দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে তারা। নারী ক্রিকেটে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার জন্য এটাই প্রথম পদক্ষেপ।
বৃষ্টির কারণে গ্রীষ্মে কোনো ম্যাচের আয়োজন করা সম্ভব হয় না বলে একটি নিদিষ্ট সময়ে বেশ ব্যস্ত থাকে দেশের ক্রিকেট। তখনই মাঠের সঙ্কটে পড়ে বিসিবি।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরু হলে দেশের বাকি ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলো বন্ধ থাকে। কারণ ক্রিকেটাররা গ্লোবাল এই টুর্নামেন্টে অংশ নেয়। যতই ক্রিকেট বাড়ছে মাঠ ব্যবস্থাপনা কমিটির ঘুম ততই হারাম হচ্ছে। কারণ সব ম্যাচ আয়োজনের জন্য সেই সংখ্যক মাঠ নেই বিসিবির।
আসন্ন ঘরোয়া মৌসুমকে সামনে রেখে মাঠের সমস্যা সমাধানে দুই জন বিদেশি কিউরেটর নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। বর্তমান কিউরেটর গামিনি ডি সিলভা এবং স্থানীয় কিউরেটরদের সঙ্গে কাজ করবেন তাঁরা। বিসিবির তত্ত্বাবধানে থাকা আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের স্বীকৃতি পাওয়া মাঠগুলো খেলার উপযোগী করে তৈরি করাই তাঁদের মূল কাজ।
বাংলাদেশে আটটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া মাঠ রয়েছে। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম এবং এম এ আজিজ স্টেডিয়াম, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম, বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম এবং রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়াম।
আর এই মাঠগুলোর কয়েকটি খেলার প্রায় অনুপযোগী। যেখানে আন্তর্জাতিক ম্যাচ তো দূরের কথা ঘরোয়া ক্রিকেটও আয়োজন হয় খুবই কষ্টে। আসন্ন মৌসুম শুরু আগে মাঠ মেরামতে সুনজর দেয়া উচিত বিসিবির। তা না হলে মাঠের সঙ্কটের কারণে সমালোচনার মুখে পড়তে হবে তাদের।