ঘরোয়া লিগে ভালো বল চান শরিফ

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
ডিউক কিংবা কোকাবুরার তুলনায় নিম্নমানের বল এসজি। ভারতের বিরাট কোহলি, রবিচন্দন অশ্বিনরা দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে এসজি বলের ব্যবহার নিয়ে অভিযোগ করেছেন। ডিউক বলের ব্যবহার সর্বজনীন করে দেয়ার দাবি তুলেছিলেন তাঁরাও।
বাংলাদেশের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল), বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) এসজি বল ব্যবহার করা হয়। পেসারদের বাজে পারফরম্যান্সের জন্য দায়ী নিম্নমানের এই এসজি বল, এমনই মনে করেন ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফর্মার মোহাম্মদ শরিফ।
বর্তমানে বেশিরভাগ দেশেই ডিউক বল দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটের খেলা হয়। ছোট থেকেই আন্তর্জাতিক পর্যায়ের জন্য ক্রিকেটার তৈরি করে তারা। কিন্তু বাংলাদেশে দেখা যায় ভিন্ন রূপ। তাই প্রশ্ন উঠতেই পারে, আন্তর্জাতিক সিরিজগুলোতে পেসাররা সুবিধা করতে না পারার মূল কারণ তাহলে ঘরোয়া ক্রিকেটের মান!

শরিফের অভিযোগ, পুরনো বল দিয়েও খেলা চালিয়ে দেয়া হয় বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে। এতে নতুন বলের সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয় পেসাররা। বল দ্রুত পুরনো হয়ে যাওয়ায় কয়েক ওভার বোলিং করার পরই স্পিনারদের আক্রমণে নিয়ে আসতে হয় দলগুলোকে। যে কারণে অভিজ্ঞ এই পেসারের দাবি, ঘরোয়া লিগে যেন ভালো বল দেয়া হয়।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ের জন্য মানসম্মত পেসার খুঁজে না পাওয়ার পেছনে নিম্নমানের এসজি বলের ব্যবহারকে কারণ হিসেবে বলা যেতেই পারে। ৩৩ বছর বয়সী শরিফ বলেছেন, ‘বল যদি কোয়ালিটির থাকে, সেখানে বলেরও কিছু গুরুত্ব আসবে। হয়তো উইকেট অনেক সময় শুষ্ক থাকে। কিন্তু বলটি অনেক সময় নরম থাকে। এ কারণে বল এবং উইকেট না মিললে আসলে সেখান থেকে ভালো ফলাফল আসে না। আমরা যে বল দিয়ে খেলি সেটি এসজি। আমি জানি না এটা উচ্চ মানের বল কিনা। হতে পারে, আবার আমরা ভালো বল নাও পেতে পারি।’
‘অনেক সময় পুরনো বল দিয়ে খেলা চালানো হয়। যারা বলটি দিচ্ছে, তারাও হয়তো জানে না। না বুঝেই হয়তো দিচ্ছে। আমরা যেখানে খেলি, এখানে বলটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যদি শুষ্ক উইকেটে খেলি, যদি বলটা ভালো থাকে তখন মানিয়ে নেয়া যায়। আপনি যদি গত কয়েক বছরের রেকর্ড দেখেন, নতুন বল যদি চার পাঁচ ওভারের মধ্যে চেঞ্জ করতে হয়, তাহলে আমরা কোথায় আছি বুঝতে হবে। সেদিকেও আমাদের নজর দেয়া উচিত।’
ঘরোয়া ক্রিকেটে এখনো মানসম্মত উইকেট পাচ্ছেন না ক্রিকেটরা। তবে উন্নতি হচ্ছে উইকেটে, স্বীকার করেছেন অনেক ক্রিকেটারই। এবার অভিযোগ উঠেছে নিম্নমানের এসজি বলের ব্যবহার নিয়ে।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের মূল ভিত জাতীয় লিগ, বাংলাদেশ লিগে; উন্নতমানের বলের ব্যবহারে নজর দেয়া উচিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)।