বিপ টেস্টকে পাত্তাই দিচ্ছেন না নাসির

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
আগামী ৫ অক্টোবর মাঠে গড়াতে যাচ্ছে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল)। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ক্রিকেটারদের ফিটনেসের ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরই ধারাবাহিকতায় খেলোয়াড়দের বাধ্যতামূলক বিপ টেস্টের ব্যবস্থা করেছে তারা।
এই বিপ টেস্টকে অবশ্য তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। তাঁর মতে বিপ টেস্টে ব্যর্থ হওয়া ক্রিকেটাররাও মাঠে নিজেদের ফিটনেস ধরে রাখতে সক্ষম। বিপ টেস্টের মার্কিং নিয়ে তাই মাথা ব্যথা নেই ২৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের।
ক্রিকফ্রেঞ্জিকে নাসির বলেন, ‘বিপ টেস্ট এমন একটি টেস্ট, যেখানে অনেকে ১২-১৩ কিংবা ১৪ পর্যন্তও পায়। কিন্তু তাদের ম্যাচ ফিটনেস তেমন থাকে না। দেখা যাচ্ছে যারা ৮, ১০ কিংবা ১১ পায় তারা, ম্যাচে অনেক ফিট থাকে। তাই আমার কাছে মনে হয় বিপ টেস্ট শুধুমাত্র একটি পরীক্ষা। এখানে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার লেভেলটা কোথায় ফিটনেসের দিক থেকে।’

বিপ টেস্টের পয়েন্টের চেয়ে মূল ম্যাচের ফিটনেসই বেশি গুরুত্বপূর্ণ নাসিরের কাছে। এ কারণে বিপ টেস্টকে ফিটনেস যাচাইয়ের মাধ্যম হিসেবে দেখতে নারাজ বাংলাদেশের হয়ে ১৯টি টেস্ট, ৬৫টি ওয়ানডে এবং ৩১ টি-টোয়েন্টি খেলা নাসির।
নাসিরের ভাষ্যমতে, ‘ফিটনেস তো আরো অনেকভাবেই করা যায়। ১১ দিলে যে খেলা যাবে, না হলে যে খেলা যাবে না এমন কিছু নয়। অনেক খেলোয়াড় আছে যারা আমার চেয়ে বেশি দৌড়ায় এবং বিপ টেস্টে তারা ভালো। তবে দেখা যাচ্ছে যে ম্যাচে আমি তাদের চেয়ে বেশি ফিট।’
‘ফিটনেস জিনিসটি আসলে আলাদা। যেমন আমি জাতীয় লিগের কথা বলি। আমি এমন অনেক বোলারকে দেখেছি, যারা বিপ টেস্টে ৭, ৮ দিয়েছে। কিন্তু তারা টানা ১৫, ১৬ ওভার বোলিং করে গেছে জাতীয় লিগে। বিপ টেস্ট শুধু একটি টেস্ট আর ম্যাচ ফিটনেস আলাদা জিনিস।’
এনসিএলকে আরো প্রতিযোগিতামূলক করার উদ্দেশে ঘরোয়া লিগের ক্রিকেটারদের ফিটনেসের প্রতি বাড়তি মনোযোগী হয়েছে বিসিবি। এ কারণে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সব ক্রিকেটারদের বিপ টেস্ট দিতে হবে।