বয়স কোনো ব্যাপার নাঃ আশরাফুল

ছবি: ছবিঃ বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
গত বছর থেকে ঘরোয়া মৌসুমের শুরুতে ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা দেয়া বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আসন্ন জাতীয় ক্রিকেট লিগকে সামনে রেখে এবারও শুরু হচ্ছে ফিটনেস টেস্ট। আগামী ১ অক্টোবর ক্রিকেটারদের ফিটনেস টেস্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
গত বছর ক্রিকেটারদের ব্লিপ টেস্টের ফলাফল ৯ কিংবা সাড়ে ৯ হলেই খেলার সুযোগ দিয়েছিল বিসিবি। তবে এবার সেটা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১।ফিটনেসের এই পরীক্ষা উৎরাতে পারলেই খেলার সুযোগ মিলবে ঘরোয়া লিগে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল মনে করেন ৩৫ বছর কিংবা ২০ বছর সবাই এই বাধা পেরুতে পারবেন। একেক জনের ফিটনেস একেক রকম বলে ধারণা এই ক্রিকেটারের।

এ প্রসঙ্গে আশরাফুল বলেন, 'বয়স কোনো ব্যাপার না। ৩৫ কিংবা ২০ বছর বলেন, কারণ বাংলাদেশ দলে অনেক পেস বোলার আছে ৮-৯ পেয়েছে ব্লিপ টেস্টে। তাঁরা যে টানা ১৮ ওভার বোলিং করতে পারবে তা না। ওইটা এক ধরনের, ব্লিপ টেস্ট অন্য ধরনের। ম্যাচ ফিটনেস আরেক ধরণের। একেক জনের একেক ধরনের ফিটনেস হয়। আমরা যারাই আছি চেষ্টা করবো এটা করার।'
তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য ব্লিপ টেস্টের এই বাধা পেরুনো সহজ হবে বলে মনে করেন আশরাফুল। তাছাড়া সিনিয়র ক্রিকেটাররা যদি এই বাধা পেরুতে চান তবে একমাস টানা ১২-১৩ মিনিট দৌড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন আশরাফুল। তাহলেই ফিটনেস টেস্টে পাস করতে পারবেন বলে আশাবাদী টেস্টের সর্বকনিষ্ট এই সেঞ্চুরিয়ান।
তিনি বলেছেন, 'যারা তরুণ তাদের জন্য সহজ হবে। বয়স ৩৫ হয়ে যাওয়ার পরও আপনি যদি ব্লিপ টেস্টে ১১ চান সেটাতো একটু কষ্টকর। আমরা যেহেতু প্রফেশনাল ক্রিকেটার এবং বেতনভুক্ত ক্রিকেটার, যেটাই বলবে (বোর্ড) সেটাই করার চেষ্টা করবো। প্রফেশনাল ক্রিকেটার হিসেবে ১১ দিতে হলে টানা ১২-১৩ মিনিট রানিং করতে হবে। ধীর হতে পারে সেটা দ্রুতও হতে পারে। এই জিনিসটা আমরা যদি অনুশীলনটা চালিয়ে যেতে পারি একমাস, তাহলে এটা করা সম্ভব।'