ফাইনালে যেসব চ্যালেঞ্জ থাকবে বাংলাদেশের

ছবি: ছবিঃ বিসিবি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনালে আফগানিস্তানকে হারাতে হলে বেশ কয়েকটি বাধা পার করতে হবে বাংলাদেশ দলকে। সিরিজের প্রথম থেকেই ওপেনিং জুটির সমস্যা, সিনিয়র খেলোয়াড়দের ব্যর্থ হওয়াসহ আর কিছু বিষয় বিপাকে ফেলেছে বাংলাদেশকে।
আফগানিস্তানের স্পিন আক্রমণও বড় বাধা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে সাকিবদের কাছে। এসব চ্যালেঞ্জ মাথায় নিয়েই ফাইনালের লড়াইয়ে মঙ্গলবার মাঠে নামতে হচ্ছে সাকিববাহিনীকে।
ফাইনাল জিততে হলে কী কী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বাংলাদেশকে, দেখে নেয়া যাকঃ
১। ওপেনিং জুটিঃ টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ওপেনিংয়ে বড় জুটির অভাব ভোগাচ্ছে সাকিবদের। এখন পর্যন্ত সিরিজে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিগুলো যথাক্রমে ১৬,১, ৪৯ এবং ৯ রানের।

এই সমস্যা কাটানোর জন্য একটি ম্যাচে মুশফিকুর রহিমকেও খেলানো হয় ওপেনিংয়ে। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। মাত্র ৫ রান করে ব্যর্থতার পরিচয় দেন তিনি। রশিদ খানদের বিপক্ষে জয় পেতে হলে নিঃসন্দেহে ওপেনিংয়ে একটি ভালো জুটি গড়তে হবে বাংলাদেশকে।
২। সিনিয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করাঃ সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের মতো সিনিয়র খেলোয়াড়রা ভালো খেলতে পারলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পাওয়াটা সহজ হতে পারে বাংলাদেশের জন্য।
গত ম্যাচে ব্যাট হাতে ৪৫ বলে ৭০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন অধিনায়ক সাকিব। ১২ রানে ২ উইকেট পড়ার পর ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি। ফাইনাল ম্যাচেও সাকিবের দিকে তাকিয়ে থাকবে দল। পাশাপাশি বাকি সিনিয়রদেরও দিতে হবে দায়িত্বশীলতার পরিচয়।
৩। রশিদ খান এবং মুজিব উর রহমানের স্পিন ভেল্কিঃ গত ম্যাচে পায়ে চোট পেলেও ফাইনালের আগে ফিট হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে আফগান অধিনায়ক রশিদ খানের। তারকা এই লেগ স্পিনার খেললে বাংলাদেশের জন্য জয় পাওয়া যে যথেষ্ট কঠিন হবে, সেটা অনুমেয়ই। চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজের ৪ ম্যাচে ৭.২০ ইকোনমি রেটে ৬ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
রশিদ ছাড়াও ১৮ বছর বয়সী অফ স্পিনার মুজিব উর রহমানকেও সামলাতে হবে বাংলাদেশকে। ৪ ম্যাচে ৬.০৬ ইকোনমি রেটে ৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৫ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেন মুজিব।
৪। ফিল্ডিংঃ আফগানদের হারাতে হলে ফিল্ডিংয়ের দিকেও বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে বাংলাদেশকে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে রহমানউল্লাহ গুরবাজের সহজ ক্যাচ ফেলেছিলেন অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এক রানে জীবন পাওয়া গুরবাজ পরবর্তীতে ২৯ রান করেন। সেই ক্যাচটি ছাড়াও ফিল্ডিং মিসের বেশ কয়েকটি উদাহরণ দেখা গেছে এই সিরিজে।