নিজেদের ঝালিয়ে নেয়ার শেষ সুযোগ পাচ্ছে আকবররা

ছবি: সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ খেলতে আজ (২৩ সেপ্টেম্বর) দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আদর্শ প্রস্তুতি হিসেবে এই সফরটিকে দেখছেন দল যুব দলের অধিনায়ক আকবর আলী এবং নির্বাচক হান্নান সরকার।
বিশ্বকাপের চূড়ান্ত লড়াইয়ে নামার আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেয়ার শেষ সুযোগ এই সিরিজটি বলে বিশ্বাস তাদের। আকবরের মতে নিউজিল্যান্ডের উইকেটে খেলতে পারলে দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট এবং কন্ডিশনের সঙ্গেও মানিয়ে নেয়া সম্ভব হবে।

নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে যুব দলের অধিনায়ক বলেন, 'বিশ্বকাপের আগে এটাই আমাদের শেষ সফর। আমরা চেষ্টা করবো বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে যত ভালোভাবে প্রস্তুতি নেয়া যায়। দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ, সেখানে সিমিং কন্ডিশন থাকবে। নিউজিল্যান্ডেও সিমিং কন্ডিশন। এটাই বিশ্বকাপের আগে শেষ প্রস্তুতি।'
অনেকটা আকবরের বক্তব্যেরই পুনরাবৃত্তি করেছেন যুব দলের নির্বাচক এবং জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার হান্নান সরকার। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিয়ে খেলতে হলে উপযুক্ত প্রস্তুতির প্রয়োজন, আর নিউজিল্যান্ড সফরটিই হতে পারে সেই প্রস্তুতির মূল উপলক্ষ বলে মনে করছেন তিনি।
হান্নান সরকারের ভাষ্যমতে, 'দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ, যে কারণে এই ধরনের কন্ডিশনে খেলা আমাদের ক্রিকেটারদের জন্য বিশাল একটা অভিজ্ঞতা। ইংল্যান্ডে যে সফর করে এসেছি, সেখানে খেলোয়াড়রা নিজেদের আত্মবিশ্বাস উন্নতির জন্য যে ধরনের পারফরম্যান্স করা দরকার সেটা করে এসেছে। নিউজিল্যান্ডেও যদি সে ধরনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারে বিশ্বকাপে আমরা ভালো কিছু আশা করতে পারি। কারণ কন্ডিশন একদম একই না হলেও সাদৃশ্য রয়েছে।'
ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাসে উন্নতির জন্যও এই সফরটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন হান্নান। তিনি বলেন, 'নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে খেলা মানে আত্মবিশ্বাসে উন্নতি আনে ক্রিকেটারদের। সেই জায়গা থেকে আমার মনে হয় এই সফরটা আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য অনেক বড় একটা প্রাপ্তি।'
আগামী বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে অনুষ্ঠেয় এই টুর্নামেন্টে অংশ নিবে ১৬টি দল। বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটি দিয়ে প্রস্তুতি সারবে আকবরবাহিনী।