নেতা সাকিবে আফগান বাধা পার হলো বাংলাদেশ

ছবি: ছবি- বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
চলমান ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ছয় নম্বর ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ফাইনালের ড্রেস রিহার্সাল হিসেবে বিবেচিত এই ম্যাচে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের হাফ সেঞ্চুরিতে আফগানদের দেয়া ১৩৯ রানের লক্ষ্য ৬ বল হাতে রেখে টপকে যায় স্বাগতিকরা।
এরই সঙ্গে ২০১৪ সালের পর টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানকে প্রথম হারালো বাংলাদেশ।দারুণ এই জয়ে ব্যাট হাতে মাত্র ৪৫ বলে ৭০ রানের ইনিংস খেলে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক সাকিব। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের ফাইনাল ম্যাচ।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আয়োজিত এই ম্যাচের শুরুতে টস জিতে আফগানিস্তানকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব। এরপর খেলতে নেমে ৭৫ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন দুই ওপেনার রাহমানউল্লাহ গুরবাজ এবং হজরতউল্লাহ জাজাই। তবে জাজাইকে মুস্তাফিজুর রহমানের হাতে ক্যাচ বানিয়ে অবশেষে এই জুটি ভাঙতে সক্ষম হন অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন ধ্রুব।

৩৫ বলে ৪৭ রান করা জাজাই ফিরলে ভাঙন শুরু হয় আফগান শিবিরে। সাকিবদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আফগানিস্তান। শেষ পর্যন্ত অলআউট না হলেও বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান করে রশিদ খানদের দল।
দলের পক্ষে উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান গুরবাজ ২৯ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়াও ১৭ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন ডান হাতি ব্যাটসম্যান শফিকউল্লাহ শফিক। বাংলাদেশের হয়ে মাত্র ৯ রান খরায় ২ উইকেট তুলে নেন তরুণ আফিফ। আর একটি করে উইকেট পান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শফিউল ইসলাম, সাকিব আল হাসান এবং মুস্তফিজুর রহমান।
১৩৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামার পর দলীয় ১২ রানের মাথায় দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস এবং নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট দুটি হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। তবে এরপর অধিনায়ক সাকিব এবং উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম তৃতীয় উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন।
২৫ বলে ২৬ রান করে করিম জানাতের শিকার হয়ে মুশফিক ফিরলে এই জুটি ভাঙে। মুশফিকের বিদায়ের পর ইনিংসের ১২.৪ ওভারে বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারণে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইট বন্ধ থাকে কিছুক্ষণ।
এরপর খেলা শুরু হলে ১০৬ রানের মাথায় আরো তিনটি উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। তবে দলের বিপর্যয়ে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন সাকিব। অপরাজিত ৭০ রানের মধ্য দিয়ে প্রথম অলরাউন্ডার হিসেবে ১৫০০ রান এবং ৯০ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েন তিনি।
একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ব্যাটসম্যান হিসেবে নাম লেখান সাকিব। পাশাপাশি তামিম ইকবালকেও টপকে যান তিনি। সাকিবের সঙ্গে ১২ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক। আফগানিস্তানের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন নাভিন উল হক এবং রশিদ খান।