চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচটিতে টসে জিতে স্বাগতিক দলকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা।

রিয়াদের ফিফটিঃ 

আফগানিস্তানের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে ফিরে আসতে হয়েছিল মাহমুদউল্লাহকে। কিন্তু এরপরের ম্যাচেই ব্যক্তিগত এই মাইলফলক তুলে নিয়েছেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বোলারদের বিপক্ষে হাত খুলে খেলে ৩৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ইনিংসের শুরুটাও প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে করেছিলেন এই ব্যাটসম্যান। 

প্যাভিলিয়নে মুশফিকঃ

সাকিবের বিদায়ের খানিকটা দুশ্চিন্তায় পরেছিল বাংলাদেশ। তবে রিয়াদের সঙ্গে ৭৮ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় স্কোরের পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩২ রানে মুতমবদজির বলে সুইপ খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বসেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

বাংলাদেশের একশোঃ 

শুরুর ৩ ব্যাটসম্যানকে হারালেও দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে বড় স্কোরের দিকে হাঁটছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে তাদের ব্যাটে দলীয় ১০০ পার করেছে সাকিববাহিনী।

সাকিবের বিদায়ঃ 

দুই ওপেনারকে হারানোর পর দলকে সামনের দিকে বেশিদূর টানতে পারেননি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। লেগ স্পিনার বার্লকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি  লাইনে ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি। ৯ বলে ১০ রান আসে তার ব্যাট থেকে।  

লিটনের উড়ন্ত সূচনাঃ

টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার লিটন দাস এবং অভিষিক্ত নাজমুল হোসেন শান্ত। ইনিংসের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মনোভাবে ব্যাটিং করতে থাকেন লিটন। 

আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম বলে আউট হওয়ার ঝাল জিম্বাবুয়ের বোলারদের দিয়ে পুষিয়ে নেয়ার কাজটা ম্যাচের প্রথম ওভার থেকেই শুরু করেন এই ওপেনার। তৃতীয় ওভারে অ্যান্ডিলভুর প্রথম চার বলে ১৯ রান নেন লিটন। 

এরপরের ওভারে হাত খুলতে শুরু করেন শান্ত। কিন্তু পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে ৯ বলে ১১ রান করে জার্ভিসকে ক্যাচ তুলে দেন এই ওপেনার। এরপরের ওভারে ২২ বলে ৩৮ রান করে এমপফুর বলে ক্যাচ তুলে দেন লিটস দাসও। মাদজিভার অসাধারণ ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনারও।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ 

১৪৬/৪ (১৭ ওভার)