সাকিবের স্বমহিমায় ফেরার নেপথ্যে

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাটিং এবং বোলিং দুই বিভাগেই হতাশ করেছিলেন সাকিব আল হাসান। সেই ম্যাচে ৪ ওভারে বিনা উইকেটে ৪৯ রান দেয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমে করেছিলেন মাত্র একরান।
আগের ম্যাচের ব্যর্থতা ভুলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশের এই অধিনায়ক। এদিন ৩ ওভার বোলিং করে এক মেইডেন সহ ২ উইকেট দিয়ে রান খরচ করেছেন মাত্র ১১।
সম্প্রতি সময়ে বোলিংয়ের তুলনায় ব্যাটিং দিয়েই বেশী আলোচনায় এসেছেন সাকিব। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপেও ব্যাটিং দিয়েই বেশিভাগ নজর কেড়েছেন ক্রিকেট বিশ্বর।

তবে গেল ম্যাচে আফগান ব্যাটসম্যানদের কাছে বেধড়ক পিটুনি খেয়ে কিছুটা হলেও টনক নড়ে সাকিবের। যে কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে বোলিং নিয়ে বাড়তি কাজ করেন এই স্পিনার।
স্পিন স্পেশালিষ্ট সোহেল ইসলামের অধীনে নেটে অনেকক্ষণ বোলিং করেন সাকিব। সেখানে তার অধীনে বেশ কয়েকটি ডেলিভারিতে আলাদা করে কাজ করেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে এই আফগানিস্তানের বিপক্ষেই ৫ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। ২০১৮ সালে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সাকিব বোলিং করেছেন মোট ৪০ ওভার যেখানে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। তার ইকোনমি রেট ৬.৬৫।
এবছর সব মিলিয়ে ১০৩ ওভার বোলিং করেছেন সাকিব, যেখানে নিয়েছেন ১৩টি উইকেট যার ১১টি এসেছে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে। এবছর ৪০.৩ গড়ে রান দিয়েছেন সাকিব। যা গেল বছর ছিল মাত্র ২৬.৮। ১২৫ ওভার বোলিং করে গেল বছর ২১ উইকেট নিয়েছিলেন এই স্পিনার।
৫০ ওভারের ক্রিকেটে ২০০৯ সালে সাকিব ইকোমিকাল বোলিংয়ে সবচেয়ে বেশী সফল ছিলেন। ১৭০ ওভার বোলিং করে ২২৮.৪ গড়ে ২৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি, পরের বছর ২৬.৩ গড়ে নিয়েছেন ৪৬ উইকেট।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। এবছর এই একটি মাত্র টেস্টই এখন পর্যন্ত খেলেছে বাংলাদেশ।