খেলাটা ক্রিকেট বলেই জয়ের স্বপ্ন দেখছেন সাকিব

ছবি: ছবিঃ বিসিবি

|| সিনিয়র ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম থেকে||
প্রথম দিন শেষে তাইজুল ইসলাম বলেছিলেন, ১০ রানে ৫ উইকেট নিয়ে নিতে পারলেই তো হয়ে গেল! চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মিরাকল আশা করেছিলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি এই স্পিনার। যদিও তাঁর আশা করা মিরাকলের ধারের কাছ দিয়েও যায়নি বাস্তবতা। ৫ উইকেটে আরও ৭১ রান যোগ করে ৩৪২ রানে প্রথম ইনিংস শেষ করেছে আফগানরা।
সাগরপাড়ের স্টেডিয়ামটিতে প্রথম দিন শাসন করেছে রশিদ খানের দলই। দ্বিতীয় দিনে তাদের দাপট আরো বেড়েছে। এদিন আফগান স্পিনারদের দাপটে পথ খুঁজে পাননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। রশিদ-নবিদের স্পিন ছোবলে ১৯৪ রানেই ৮ উইকেট খুইয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকরা এখনো ১৪৮ রানে পিছিয়ে, হাতে মাত্র ২ উইকেট। এমন অবস্থায় অনেকটা তাইজুলের মতোই মন্তব্য করলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

ক্রিকেট গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা বলেই সাকিব বলছেন, এই ম্যাচ এখনো জেতা সম্ভব। যদিও আফগান স্পিনারদের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের লড়াই তেমন কিছুর আভাশ দেয় না। কারণ ১৯৮ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করলেও ১০৬ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
দিন শেষে তবু আশার কথা সাকিবের মুখে। এই ম্যাচ জেতা সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নে বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, ‘ম্যাচ জেতা অবশ্যই সম্ভব এবং ক্রিকেটে অনেক এমন হয়েছে যে প্রথম ইনিংসে পেছনে থাকার পরেও দল কামব্যাক করে। আমরাও আশা করবো যেন এমন কিছুই হয়।’
কীভাবে সেটা সম্ভব হবে সেই উপায়ও বলে দিলেন সাকিব, ‘এর জন্য অবশ্যই আমাদের যে দুই উইকেট আছে তারা যদি ভালো ব্যাটিং করে একটু এগিয়ে নিতে যেতে পারে আর বোলিংটা যদি ভালো করতে পারি, তাহলে অনেক কিছুই হতে পারে। রান তাড়া করতে যাওয়াটা অবশ্যই কঠিন হবে, এত সহজ হবে না এই উইকেটে ওদের স্পিনারদের বিরুদ্ধে। তবে বিশ্বাস আমাদের ভেতরে আছে যে জেতা সম্ভব।’
যদিও দুই দিনেই আফগান স্পিনারদের সঙ্গে নিজেদের স্পিনারের পার্থক্য বুঝে ফেলেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। সাকিব বলছেন, ‘আমাদের ফিঙ্গার স্পিনার আর ওদের রিস্ট স্পিনার- এটাই পার্থক্য। এ ছাড়া আর কোনো পার্থক্য দেখি না। নবি ভাই বোলিং করেছে, দুটি উইকেট পেয়েছে। আমাদের কিন্তু ফিঙ্গার স্পিনাররাই ১০ টি উইকেট পেয়েছে।
ওদের রিস্ট স্পিনাররাই বেশি ইফেক্টিভ ছিল। যেহেতু আমাদের রিস্ট স্পিনার নাই। এমন ফ্ল্যাট উইকেটগুলোতে রিস্ট স্পিনার না থাকলে কঠিন হয়ে যায়। আর যেহেতু আমরা এই ধরনের উইকেট আশা করিনি, তাই আমাদের জন্য পরিস্থিতিটি কঠিন।’
সাকিবের চাওয়াটা যে বাস্তবসম্মত নয়, সেই বোধ বাংলাদেশ দলে এখনো অনুপস্থিত। কারণ বাংলাদেশের দাবি অনুসারে উইকেট ফ্ল্যাট করা হয়েছে। তাতেই যদি আফগান স্পিনাররা এমন শাসন করেন, তাহলে টার্নিং উইকেট বানালে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা উইকেটে গিয়ে কোন অথৈ সাগরে পড়তেন, সেটা বোঝাই যায়।