হুমায়ূনের প্রশ্নের উত্তর জানা নেই সাকিবের

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২০১২ সালের জুলাই মাসে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন দেশের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। মৃত্যুর আগে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে উৎসর্গ করে একটি বই লেখেন তিনি। ফাউন্টেনপেন নামের সেই বইটিতে সাকিবকে একটি প্রশ্নও করেন হুমায়ূন।
ক্রিকেট খেলায় এগারোজনই কেন খেলেন এটাই ছিল তাঁর প্রশ্ন। তবে সাকিব নিজেও এই প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি। হুমায়ূন তাঁর বইটিতে লেখেন, 'সাকিবের কাছে কুইজ---- ক্রিকেটে এগারোজন খেলোয়াড় খেলেন। কেন বারোজন না বা কেন দশজন না? সংখ্যাটা এগারো কেন?'

যুক্তরাষ্ট্রের এক সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে সাকিব এই প্রসঙ্গে বলেন, 'উনি একটা প্রশ্ন করেছিলেন যেটির উত্তর আমি এখনও জানি না। বইয়ের ভেতরেই প্রশ্নটি লেখা আছে যে ক্রিকেট ম্যাচে দশজন কিংবা বারোজন কেন খেলে না? কেন এগারোজনই খেলে। এটি আমি আমার এক স্যারকে জিজ্ঞেস করার পর উত্তরটি দিয়েছেন। যদিও আমি আবার ভুলে গেছি উত্তরটি কি ছিল, তবে আমিও আসলে সঠিক জানি না যে কেন এগারোজন খেলোয়াড়ই ক্রিকেট ম্যাচ খেলে, কেন দশজন কিংবা বারোজন না।'
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় এই লেখকের প্রিয় খেলোয়াড় হতে পেরে যথেষ্ট গর্বিত সাকিব। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বলেন, 'এটি অনেক বড় পাওয়া আমার কাছে অবশ্যই। যখন আমি প্রথমবার এটি জানতে পারি আমার কাছে খুবই খুশি লাগে এবং খুবই আনন্দিত হই আমি। যদিও ওনার সঙ্গে আমার কখনোই দেখা হয়নি সামনাসামনি কিংবা কথাও হয়নি। আর তিনি যে বইটি (ফাউন্টেনপেন) উৎসর্গ করেছেন সেটি পড়ার সুযোগও হয়েছে আমার। আমার কাছে খুবই আনন্দের বিষয় ছিল এটি এবং আমি এটি নিয়ে অনেক গর্ব বোধ করি যে ওনার মতো লেখক একটি বই উৎসর্গ করেছেন আমাকে।'
মৃত্যুর আগে হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা ছিল সাকিবের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই আশা পূরণ হয়নি তাঁর। সাকিবের ভাষায়, 'আমার জন্য এটি অনেক বড় একটি পাওয়া। দেখা হলে খুবই ভালো হতো। আমার একটি আশা হয়তো পূরণ হলো না। তবে যেটাই হোক আমি খুবই খুশি যে ফাউন্টেনপেন বইটি যে উনি উৎসর্গ করেছেন সেটি ওনার বায়োগ্রাফি। সেদিক থেকে এটা আরো বেশি স্পেশাল আমার জন্য। একটা ব্যাপার হলো, যদি দেখা হতো আমার কাছে মনে হয় সবথেকে বেশি ভালো হতো। ওনার কাছ থেকে অনেক কিছু জানতে পারতাম আমি।'