মাঠ স্বল্পতায় অনিশ্চয়তায় ঘরোয়া ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
ঘরোয়া ক্রিকেটে মাঠ স্বল্পতার কারণে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) সঙ্গে পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিকেএসপির ৩ এবং ৪ নম্বর মাঠ ঘরোয়া ক্রিকেটের জন্য ব্যবহার করার অনুমতি ছিল বিসিবির। বিকেএসপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় মাঠগুলো তাদের কাজে লাগবে। যে কারণে বিসিবির সঙ্গে চুক্তি বাড়ায়নি তারা। তাই দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট আয়োজনে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
নারী ক্রিকেটের প্রসারের জন্য কাজে নেমেছে বিকেএসপি। যার ফলে ৪ নম্বর মাঠটি সম্পূর্ণ নারীদের জন্য বরাদ্দ রেখেছে বিকেএসপি। আর এ কারণেই বিসিবির সঙ্গে চুক্তি বাড়ায়নি খেলোয়াড় তৈরির প্রতিষ্ঠানটি।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে মিটিং করেছেন বিকেএসপির চিফ কোচ মাসুদ হাসান। মিটিং শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিকেএসপি এবং বিসিবির চুক্তি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

মাসুদ হাসান বলেছেন , 'একটি নারী কমপ্লেক্স তৈরি হচ্ছে। এটি মেগা প্রোজেক্ট বিকেএসপির জন্য। সরকারিভাবে এটি করা হচ্ছে। এখানে বিকেএসপির থেকে যে চিন্তাভাবনা আছে বা তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটি হলো চার নম্বর মাঠটিকে নারী কমপ্লেক্সের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। চুক্তি বাড়ানো হয়নি, তবে যেহেতু বিসিবি মাঠটি ব্যবহার করে এবং সুযোগ সুবিধা যা আছে সেগুলো ব্যবহার করে। তাই বিসিবির পক্ষ থেকে যদি চুক্তি বাড়াতে চায় তাহলে হয়তো বিকেএসপি কর্তৃপক্ষ সেখানে লাভ-ক্ষতির ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করবে। সেগুলো বিষয় বিবেচনা করে হয়তো চুক্তির আওতায় আসতে পারে।'
'এখানে অনেক প্রতিযোগিতার ব্যাপার আছে। তবে চুক্তির বিষয়টি কিভাবে হবে, সেটি বিকেএসপি কর্তৃপক্ষ এবং বিসিবির পক্ষ থেকে এটা সমাধান করা হবে। এই বিষয়ে হয়তো আমরা বলতে পারবো না। যদিও বিসিবি এতোদিন চার নম্বর মাঠটি রক্ষণাবেক্ষণ করেছে। ওখানে প্রিমিয়ার লিগ, জাতীয় লিগ অনেক খেলাই অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটা সত্যি, তবে এখন যেহেতু একটি বড় প্রোজেক্ট- মেয়েদের ক্রীড়া কমপ্লেক্স তৈরি হচ্ছে ট্রেনিংয়ের জন্য, স্পেশালি মেয়েদের জন্য। যখন প্রশ্ন আসবে তখন তো দেখানো হবেই যে এই মাঠটি নারীদের কমপ্লেক্সের জন্য। এই জন্য চার নম্বর মাঠকে বিকেএসপি বাছাই করেছে, যেটা মেয়েদের কমপ্লেক্সের অধীনে থাকবে।'
জানা গেছে, ২ নম্বর মাঠটি প্রস্তুত করার জন্য বিসিবিকে প্রস্তাব দিয়েছে বিকেএসপি। তবে পানি নিষ্কাশনের বাজে অবস্থার কারণে কাজটি কঠিন হয়ে যাবে বিসিবির জন্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবি কর্মকর্তা ক্রিকফ্রেঞ্জিকে জানিয়েছেন, বিকেএসপি কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন মাঠ তৈরি করার জন্য জমি চেয়েছে বিসিবি।
'২ নম্বর মাঠটি নতুন করে খেলার উপযোগী করে তৈরি করা বেশ কঠিন। যদি চুক্তি বাড়াতে না পারি তাহলে কিছু জমি দিয়ে আমাদের সাহায্য করতে হবে বিকেএসপির পক্ষ থেকে। যেখানে আমরা নতুন মাঠ তৈরি করতে পারব।' ক্রিকফ্রেঞ্জিকে বলেছেন বিসিবি কর্মকর্তা।
আরও বলেন, 'আমরা প্রচুর টাকা খরচ করেছি মাঠ দুটির উন্নতির জন্য। তাই প্রতিদানে কিছু না নিয়ে খেলা বন্ধ করব না আমরা। সেটা হলে, বিকেএসপির আমাদের জমি দিয়ে সাহায্য করতে হবে।'