সেমিফাইনাল নিশ্চিতের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি নিউজিল্যান্ড

ছবি: ছবিঃ আইসিসি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
চলতি বিশ্বকাপের ৩৭তম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। ইতিমধ্যে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলায় বেশ নির্ভার হয়েই এই ম্যাচে মাঠে নামছে অ্যারন ফিঞ্চের দল। গত বিশ্বকাপের ফাইনালে এই দুই দল একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল। সেবার সহজ হয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছিল অজিরা।
ঐতিহাসিক লর্ডসে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মাঠের লড়াই শুরু হবে আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। এই ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ রয়েছে কেন উইলিয়ামসনদের। তাছাড়া, এই ম্যাচটি নিজিল্যান্ডের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার ম্যাচও বটে।
বিশ্বকাপে সাত ম্যাচ খেলে পাঁচটিতে জিতে পয়েন্ট টেবিলে ৩ নম্বরে আছে কিউইরা। তাঁরা হেরেছে মাত্র একটি ম্যাচে। তাদের একটি ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত। চলতি এই টুর্নামেন্টে নিউজিল্যান্ডের শেষ দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষ শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড। তাই এই দুই ম্যাচের ওপরই সেমিফাইনালের ভাগ্য নির্ভর করছে নিউজিল্যান্ডের।
অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে আছে। সর্বশেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে তাঁরা সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে। সাত ম্যাচের মধ্যে কেবল ভারতের বিপক্ষে তাঁরা হেরেছে। এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং দুর্বলতাও চোখে পড়েছে। তবে বাকি ম্যাচগুলোতে তাদের ব্যাটিং ছিল যথেষ্ঠ সাবলীল।

সাতটি ম্যাচের মধ্যে ছয়টি জিতে নিয়ে তাদের দখলে রয়েছে ১২ পয়েন্ট। অনুমিতভাবেই পয়েন্ট টেবিলেও সবার ওপরে আছে ফিঞ্চরা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াইয়ের আগে পরিসংখ্যানও আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে অজিদের। দেশের বাইরে মোট ২০টি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মোকাবেলা করেছে অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্যে ১৯টি ম্যাচেই জয় পেয়েছে অজিরা।
নিউজিল্যান্ড যে একটি ম্যাচ জিতেছে। সেই ম্যাচটি এই ইংল্যান্ডের মাটিতেই। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্সে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। উইলিয়ামসনরা সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে চাইবে লর্ডসেও। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড মোট মুখোমুখি হয়েছে সাতটি ম্যাচে। এরমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার জয় ছয়টিতেই।
আজকের ম্যাচে দুই দলের একাদশ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে। নিউজিল্যান্ডের একাদশে বেশ কিছু পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বকাপের শুরু থেকেই রানের মধ্যে নেই কলিন মুনরো এবং টম লাথাম। এই দুজনের বদলি হিসেবে টম ব্লান্ডেল এবং হ্যানরি নিকোলস খেলতে পারেন অজিদের বিপক্ষে।
ব্যাটিং ইউনিট নিয়ে চিন্তায় থাকলেও বোলিং আক্রমণ নিয়ে বেশ নির্ভার কিউইরা। ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হ্যানরি এবং লকি ফার্গুসনরা দারুণ ছন্দে আছেন। এই ট্রায়ো মিলে প্রতিপক্ষের ৩২টি উইকেট শিকার করেছেন।
অজিরা অবশ্য এই ম্যাচে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ নিচ্ছে না। তাই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচের একাদশটিই খেলানোর সম্ভাবনা রয়েছে তাদের। টপ অর্ডারে ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যারন ফিঞ্চ এবং উসমান খাওয়াজারা দারুণ ফর্মে আছেন।
শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড় তোলার কাজটাও ঠিক ভাবেই করছেন গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল। তাই তদের ওপরই আস্থা রাখছে অজি টিম ম্যানেজমেন্ট। ১৯ উইকেট নিয়ে চলতি বিশ্বকাপের সর্বাধিক উইকেট শিকারি মিচেল স্টার্ক। তাছাড়া প্যাট কামিন্সের দখলে রয়েছে ১১ উইকেট। তাই বোলিং আক্রমণও ভরসা তৈরি করেছে। তাই তাঁরা অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই মাঠে নামতে পারে।
নিউজিল্যান্ড একাদশ (সম্ভাব্য): মার্টিন গাপটুল, হ্যানরি নিকোলস, কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), রস টেইলর, টম লাথাম (উইকেটরক্ষক), জিমি নিশাম, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, ম্যাট হ্যানরি, মিচেল স্যান্টনার, ট্র্যান্ট বোল্ট, লকি ফার্গুসন।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ (সম্ভাব্য): অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথ, উসমান খাওয়াজা, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কুস স্টয়নিস, অ্যালেক্স ক্যারি (উইকেটরক্ষক), প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা, জেসন বেহরেনড্রফ।