মরিস-প্রিটোরিয়াসে লণ্ডভণ্ড শ্রীলঙ্কা

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না শ্রীলংকার সামনে। এমন সমীকরণ মাথায় নিয়ে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল দিমুথ করুনারত্নের দল।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে ফাফ ডু প্লেসির দলের বিপক্ষে স্কোরবোর্ডে বড় পুঁজি গড়তে পারেনি লঙ্কানরা। ৪৯.৩ ওভারে ২০৩ রান তুলতেই অল আউট হয়ে গেছে তারা।
সর্বোচ্চ ৩০ রান করে করেছেন আভিশকা ফার্নান্ডো এবং ওপেনার কুশল পেরেরা। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন পেসার ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস এবং ক্রিস মরিস।
ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় শ্রীলংকা। অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নকে ইনিংসের প্রথম বলেই বিদায় করেন প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদা। রানের খাতা খোলার আগেই ফাফ ডু প্লেসির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।

আরেক ওপেনার কুশল পেরেরার সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৭ রানের জুটি গড়েন তিন নম্বরে নামা আভিশকা ফার্নান্ডো। ইনিংস মেরামতের কাজে ব্যস্ত থাকা এই দুই লঙ্কানকে পর পর দুই ওভারে বিদায় করেন প্রিটোরিয়াস।
৭২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসা শ্রীলংকাকে উদ্ধার করতে পারেননি অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। ক্রিস মরিসের বলে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে ১১ রানে ইনসাইড এজে বোল্ড হন সাবেক এই লঙ্কান অধিনায়ক।
খানিক পর ২৩ রান করা কুশল মেন্ডিসকে বিদায় করে নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন প্রিটোরিয়াস। ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ২৪, জীবন মেন্ডিস ১৮ এবং থিসারা পেরেরা ২১ রান করে ফিরে গেলে ২০০'র আগে অল আউট হওয়ার শঙ্কায় পড়ে শ্রীলংকা।
নিচের সারির ব্যাটসম্যানদের অবদানে দলীয় সংগ্রহ ২০০ পার করলেও আর বেশি দূর এগোতে পারেনি তারা। ২০৩ রানেই গুঁটিয়ে যায় ১৯৯৬ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
শ্রীলংকাঃ ২০৩/১০ (৪৯.৩ ওভার), (কুশল পেরেরা ৩০, (প্রিটোরিয়াস ৩/২৫)