|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

বিশ্বকাপে আজ বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। নটিংহ্যামের ট্রেন্টব্রিজে শুরু হওয়া এই ম্যাচে এরই মধ্যে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। 

ওয়ার্নারকেও ফেরালেন সৌম্যঃ

মাশরাফির করা ৪৩ তম ওভারের তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে ১৩৯ বলে ব্যক্তিগত দেড়শ রানে পৌঁছান ওয়ার্নার। এরপর ব্যক্তিগত ১৬৬ রানে তিনি সৌম্যকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে শর্ট থার্ড ম্যানে রুবেলের হাতে ধরা পড়ে আউট হন।

খাওয়াজার অর্ধশতকঃ

ফিঞ্চ ফেরার পর ওয়ার্নারের সঙ্গে আরেকটি বড় জুটি গড়েন উসমান খাওয়াজা। জুটি গড়ার পথে মাত্র ৫০ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন অজি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। অর্ধশতক পূরণের পরই হাত খুলে খেলতে থাকেন খাওয়াজা।

ওয়ার্নারের সেঞ্চুরিঃ

ইনিংসর ষষ্ঠ ওভারে সাব্বির রহমানের হাতে জীবন পেয়ে আর পেছনে ফিরে তাকাননি অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে দারুন ব্যাটিং করে চলতি বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে টন্টনে ১০৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। 

সৌম্যর প্রথমঃ

দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার এবং আরন ফিঞ্চের ব্যাটে কোনো উইকেট না হারিয়ে দলীয় ১০০ পার করেছিল অস্ট্রেলিয়া। দুজনই ছুঁয়ে ফেলেন হাফ সেঞ্চুরি। মোসাদ্দেক হোসেন ইনজুরিতে থাকায় ষষ্ঠ বোলার হিসেবে সৌম্য সরকারকে বোলিং নিয়ে নিয়ে আসেন মাশরাফি।

অধিনায়ককে অবশ্য হতাশ করেননি তিনি। নিজের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই অ্যারন ফিঞ্চকে ৫২ রানে বিদায় করেন সৌম্য। ৫১ বলে ৫২ রান করে রুবেল হোসেনকে ক্যাচ তুলে দেন অজি এই দলপতি। 

বোলিংয়ের রুবেলঃ 

জীবন পেয়ে সেটাকে বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগাচ্ছেন ওয়ার্নার। ফিঞ্চকে সঙ্গে নিয়ে ইতিমধ্যে দলকে পঞ্চাশ রানের জুটি এনে দিয়েছেন তিনি। জুটি ভাঙ্গতে অধিনায়ক মাশরাফি এখন বোলিংয়ে এনেছেন পেসার রুবেল হোসেনকে। 

ক্যাচ ছাড়লেন সাব্বিরঃ 

টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুর দুই ওভারে বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে একটু সতর্ক হয়েই খেলেছেন দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার এবং অ্যারন ফিঞ্চ। তৃতীয় ওভার থেকে খানিকটা হাত খুলে খেললেও ষষ্ঠ ওভারে বাংলাদেশকে বড় সুযোগ দিয়েছিলেন ওয়ার্নার। 

মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টকে খেলতে গিয়ে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। কিন্তু সেই ক্যাচ লুফে নিতে ব্যর্থ হন সাব্বির রহমান।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ ৩২১/২ (৪৫ ওভার)

(খাওয়াজা ৮৪*)