পুরনো কষ্ট সাহস দেয় সাকিবকে

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২০০৭ সালের বিশ্বকাপে একেবারেই তরুণ ছিলেন সাকিব। ব্যাটে-বলে আলো ছড়ালেও, দলের মধ্যমণি ছিলেন না তিনি। এরপর ২০০৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে নিজেকে সেরাদের কাতারে নিয়ে যান। এরপর বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জয়ে তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। ফলে ২০১১ বিশ্বকাপে তাঁর দিকেই তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। তবে অধিনায়ক থাকলেও সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি সাকিব। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপেও পার্শ্ব নায়ক ছিলেন। ফলে মনের কোণে তাঁর একটি কষ্ট জমা ছিল।
এবারের বিশ্বকাপে বদলে যাওয়া সাকিবকে সাহস দিচ্ছে পুরনো সেই কষ্ট। বিশ্বকাপের আগে প্রায় ৬ কেজি ওজন কমিয়েছেন তিনি। আইপিএলে সাইড বেঞ্চে বসে থেকে সময় নষ্ট না করে আলাদা করে অনুশীলন করেছেন। অনুশীলনে দেখভাল করার জন্য দেশ থেকে নিয়ে গিয়েছিলেন গুরু মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনকেও। সাকিবের বিশ্বাস ছিল পুরনো কষ্টগুলোর চেয়ে বেশি কষ্ট হয়ত পাবেন না। সেই কষ্টকে শক্তিতে রূপান্তরিতে করেই এবারের বিশ্বকাপে সফল সাকিব,

'জানি না আসলে কি কারণ, এর আগে যেহেতু অনেক কষ্ট করে এসেছি, সুতরাং যখনই কঠিন পরিস্থিতি আসে তখন সেই কষ্টের কথাগুলো মনে পড়ে এবং সেটা আমাকে আসলে সাহস দেয় কিংবা শক্তি দেয় যে এত যেহেতু কষ্ট করেছি এর থেকে তো আর কষ্ট করা লাগবে না। সেই শক্তিটি মনে মনে সবসময়ই আমি পাচ্ছি। সেটা আসলে ব্যাক অফ দ্যা মাইন্ড বড় একটি সাপোর্ট দিচ্ছে এখন', বলেন তিনি।
সোমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১২৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে জিতিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই নয়, সাকিব আশ্চর্য ধারাবাহিক গত বছর থেকেই। ১২৪*, ১২১, ৬৪, ৭৫, ৫০* ২৯ ও ৬১*—সর্বশেষ সাত ইনিংসের পাঁচটিইতেই পঞ্চাশ পেরোনো ইনিংস খেলেছেন তিনি।
সাকিব মনে করেন সেরা অবস্থানে না থেকেও অনেক সময় ভালো কিছু করা সম্ভব। ২০০৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ কিংবা এবারের বিশ্বকাপ, দুটোতেই নিজের সেরা অবস্থানে থেকেই খেলছেন বলে জানালেন টাইগার অলরাউন্ডার,
'জানি না, আমি যেটি বললাম যে সেরা অবস্থানে থাকলেই যে আমি বেশি রান করবো কিংবা উইকেট পাবো এটি আসলে তা নয়। অনেক সময় সেরা অবস্থায় না থেকেও অনেক ভালো কিছু কিংবা বেশি কিছু করা সম্ভব হয়। ঐ সময়টাতেও আমি ভালো অবস্থায় ছিলাম, এখনও আমি ভালো অবস্থায় আছি।'