ডেথ বোলিংয়ে তাকিয়ে টাইগাররা

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশঃ ২৪৪/১০ (৪৯.২ ওভার)
(সাকিব ৬৪, সাইফুদ্দিন ২৯; হেনরি ৪/৪৭)
নিউজিল্যান্ডঃ ২১৮/৭ (৪৩.৩ ওভার)
(সান্টনার ০*)
লন্ডনের কেনিংটন ওভালে বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঝারি পুঁজি গড়েছে বাংলাদেশ দল। ৪৯.২ ওভারে ২৪৪ রানে অল আউট হয়েছে টাইগাররা। জবাবে ব্যাট করছে নিউজিল্যান্ড।
ডেথ বোলিংয়ে তাকিয়ে টাইগাররাঃ-
ম্যাচ জিততে ৩৯ বলে ২৭ রান প্রয়োজন কিউইদের। এমত অবস্থায় ডেথ বোলিংয়ে তাকিয়ে আছে বাংলাদেশ দল। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে (১৫) মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছেন সাইফুদ্দিন।
এরপরের ওভারে জেমস নিশামকে (২৫) ফিরিয়েছেন মোসাদ্দেক।
টেইলরকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করলেন মোসাদ্দেকঃ-
ব্যক্তিগত ৮২ রানে ফিরেছেন টেইলর। মোসাদ্দেকের বলে উইকেটের পেছনে মুশফিককে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। ৯১ বলের ইনিংসে নয়টি চার হাঁকিয়েছেন তিনি।
একই ওভারে মিরাজের দুই উইকেটঃ
মুশফিকের কাছে জীবন পাওয়া উইলিয়ামসন থেমেছেন ৪০ রান করে। ৭২ বলের ইনিংসে মাত্র একটি চার মেরেছেন তিনি। মেহেদি মিরাজের বলে মোসাদ্দেক হোসেনকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি।

একই ওভারের শেষ বলে টম লাথামকেও (০) ফিরিয়েছেন মিরাজ। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি।
টেইলরের অর্ধশতকঃ
তৃতীয় উইকেটে রস টেইলরকে নিয়ে নিউজিল্যান্ডের রান বাড়াতে থাকেন উইলিয়ামসন। ১৮ ওভারে তাঁরা দলীয় শতক পূরণ করে। একপ্রান্ত আগলে রেখে মাত্র ৪০ বলে অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন রস টেইলর।
দলীয় শতকে নিউজিল্যান্ডঃ
১২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রান আউট হয়ে ফিরতে পারতেন উইলিয়ামসন। তবে থার্ড আম্পায়ার টিভি রিপ্লেতে দেখেন বল হাতে নেয়ার আগেই মুশফিকের হাত স্ট্যাম্পে লেগে বেল পড়ে যায়। ফলে নট আউট দেন থার্ড আম্পায়ার।
সাজঘরে দুই কিউই ওপেনারঃ
মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করেন দুই কিউই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও কলিন মুনরো। মুনরো দেখেশুনে শুরু করলেও গাপটিল এক প্রান্তে চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন। ২৫ রান করা গাপটিলকে নিজের প্রথম বলেই তামিমের ক্যাচ বানিয়ে আউট করেন সাকিব।
গাপটিল ফিরে গেলেও কেন উইলিয়ামসনকে নিয়ে ৭ ওভারেই নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ অর্ধশতকে পৌঁছে দেন মুনরো। তবে, ২৪ রান করা মুনরো মিরাজের দুর্দান্ত ডাইভিং ক্যাচে আউট হয়েছেন সাকিবের বলে।
প্রথম ইনিংস বিবরণঃ
এই ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড দলপতি কেন উইলিয়ামসন। ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকার।
এই দুজনের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৫ রান। ইনিংসের নবম ওভারে ম্যাট হেনরির বলে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন সৌম্য। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান। খানিক পর তামিম ইকবালকে ব্যক্তিগত ২৪ রানে নিজের প্রথম শিকারে পরিণত করেন লকি ফার্গুসন।
দুই ওপেনার ফিরে গেলেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের মত এই ম্যাচেও বাংলাদেশ দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম। এই দুইজনের ব্যাটে দলীয় ১০০ পার করে বাংলাদেশ।
কিন্তু ভুল বুঝাবুঝির কারণে রান আউটের ফাঁদে পড়তে হয় মুশফিককে। এরপর মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে ইনিংস গড়ায় মন দেন সাকিব। শুরু থেকে দেখে শুনে খেলে মাত্র ৫৪ বলে অর্ধশতক তুলে নিয়েছিলেন সাকিব।
তবে এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ৬৮ বলে ৬৪ রান করে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের বলে উইকেটের পেছনে লাথামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। সাকিব ফিরে গেলে পঞ্চম উইকেটে মোহাম্মদ মিঠুন ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ জুটি বেঁধে বাংলাদেশ দলের রানের চাকা সচল রাখেন।
তবে ২৬ রান করা মিঠুন ম্যাট হ্যানরিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন গ্র্যান্ডহোমকে ক্যাচ দিয়ে। এরপর মাহমুদুল্লাহও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তিনি ২০ রান করে স্যান্টনারের বলে উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন।
মোসাদ্দেক হোসেন ১১ রান করে বোল্টের শিকার হয়ে আউট হন। বোল্টের করা ৪৯তম ওভারে ৭ রান করে উইকেটের পেছনে ল্যাথামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশ দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা ইনিংসের শেষ ওভারে ১ রান করে হ্যানরিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে থার্ড ম্যানে ক্যাচ দেন বোল্টের হাতে। এরপর ২৯ রান করে সাইফুদ্দিন বোল্ড হলে বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে যায় ২৪৪ রানে।
বাংলাদেশ একাদশ:
তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান।
নিউজিল্যান্ড একাদশ:
মার্টিন গাপটিল, কলিন মুনরো, কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), রস টেইলর, টম লাথাম (উইকেটরক্ষক), জিমি নিশাম, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, মিচেল স্যান্টনার, ম্যাট হেনরি, লকি ফার্গুসন, ট্রেন্ট বোল্ট।