রেকর্ড গড়েও হারের স্বাদ পেল ইংল্যান্ড

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
টানা ৬ ম্যাচে ৩০০ পেরুনো ইনিংসের রেকর্ড গড়েও পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের স্বাদ পেতে হয়েছে ইংল্যান্ডকে। ইংলিশদের ১৪ রানের ব্যবধানে হারিয়ে টানা ১১ ম্যাচ হারের পর জয়ের ধারায় ফিরেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের করা ৩৪৮ রানের জবাবে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ইংল্যান্ডের ইনিংস থেমেছে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৩৪ রানে।
পাকিস্তানের দেয়া ৩৪৯ রানের বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইংলিশদের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি। দলীয় মাত্র ১২ রানের মাথায় শাদাব খানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরত যান ওপেনার জেসন রয়।
তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৮ রান। এরপর আরেক ওপেনার জনি বেয়ারস্টোকে দলীয় ৬০ রানের মাথায় ফেরান ওয়াহাব রিয়াজ। দারুণ শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি বেয়ারস্টো।
তিনি ফিরেছেন ৩২ রান করে। অধিনায়ক ইয়ন মরগান মাত্র ৯ রান করে হাফিজের বলে বোল্ড হয়ে ফেরত যান। ইংল্যান্ডের আগের ম্যাচের নায়ক বেন স্টোকসও এই ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন।
তিনি ফিরেছেন মাত্র ১৩ রান করে শোয়েব মালিকের বলে উইকেটের পেছনে সরফরাজ আহমেদকে ক্যাচ দিয়ে। ১১৮ রানেই চার উইকেট হারিয়ে বেশ বিপদে পড়ে ইংল্যান্ড।
সেখান থেকে জস বাটলারকে নিয়ে জো রুট দুর্দান্ত ব্যাটিং করে চাপ কাটিয়ে দেন ইংলিশদের। পঞ্চম উইকেটে এই দুজনে যোগ করেছেন ১৩০ রান। ৪৭ বলে অর্ধশতক হাঁকানো জো রুট ৯৭ বলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন।

১০৭ রান করে তিনি শাদাব খানের বলে হাফিজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। এরপর সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন বাটলারও। মাত্র ৭৫ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছান তিনি।
সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে দ্রুতই সাজঘরে ফিরে যান তিনি। ব্যক্তিগত ১০৩ রানে মোহাম্মদ আমিরকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ওয়াহাব রিয়াজের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। শেষ দিকে পরপর দুই বলে মঈন আলী (১৯) ও ক্রিস ওকসকে (২১) ফিরিয়ে পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরান ওয়াহাব রিয়াজ।
১ রান করা জফরা আর্চারকে রিয়াজের ক্যাচ বানিয়ে আউট করেন আমির। এরপর আদিল রশিদ ২ ও মার্ক উড ৬ রান করে অপরাজিত থাকলেও জেতাতে পারেননি।
এর আগে, নটিংহ্যামে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে পাকিস্তানকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার ইমাম-উল-হক ও ফখর জামান। তবে দুই ওপেনারের কেউ ভালো শুরুটা বড় করতে পারেননি।
ফখর জামান ৩৬ রান করে ফিরলে পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি থামে ৮২ রানে। ইমাম ফিরেছেন ৪৪ রান করে। ওয়ান ডাউনে বাবর আজম ৬৩ রানের ইনিংস খেলেছেন।
মোহাম্মদ হাফিজকে নিয়ে তিনি তৃতীয় উইকেটে যোগ করেছেন ৮৮ রান। বাবর ফিরে গেলে হাফিজ আরেকটি বড় জুটি গড়েন অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে নিয়ে।
চতুর্থ উইকেটে তাদের জুটিতে এসেছে ৮০ রান। হাফিজ সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে ৮৪ রান করে আউট হয়েছেন। সরফরাজের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৫ রানের ইনিংস।
এরপর দ্রুতই সাজঘরে ফিরেছেন কয়েকজন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান। আসিফ আলী ১৪, শোয়েব মালিক ৮ ও ওয়াহাব রিয়াজ ৪ রান করে ফিরেছেন।
তবে হাসান আলী ১০ ও শাদাব খান ১০ রান করে অপরাজিত থেকে পাকিস্তানের বড় পুঁজি নিশ্চিত করেছেন। ইংল্যান্ডের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন ক্রিস ওকস ও মঈন আলী। তাছাড়া, ২টি উইকেট নিয়েছেন মার্ক উড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ৩৪৮/৮ (ইমাম ৪৪, ফখর ৩৬, বাবর ৬৩, হাফিজ ৮৪, সরফরাজ ৫৫, আসিফ ১৪, মালিক ৮, ওয়াহাব ৪, হাসান ১০*, শাদাব ১০*; ওকস ৮-১-৭১-৩, আর্চার ১০-০-৭৯-০, মইন ১০-০-৫০-৩, উড ১০-০-৫৩-২, স্টোকস ৭-০-৪৩-০, রশিদ ৫-০-৪৩-০)
ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩৩৪/৯ (রয় ৮, বেয়ারস্টো ৩২, রুট ১০৭, মর্গ্যান ৯, স্টোকস ১৩, বাটলার ১০৩, মইন ১৯, ওকস ২১, আর্চার ১, রশিদ ৩*, উড ১০*; শাদাব ১০-০-৬৩-২, আমির ১০-০-৬৭-২, ওয়াহাব ১০-০-৮২-৩, হাসান ১০-০-৬৬-০, হাফিজ ৭-০-৪৩-১, মালিক ৩-০-১০-১)
ফল: পাকিস্তান ১৪ রানে জয়ী