এক পেশে উদ্বোধনী ম্যাচে দাপট ইংল্যান্ডের

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ইংলিশদের ১৫ সালের বিশ্বকাপে অল্পের কারণে জায়গা হয় নি বেন স্টোকসের। ৪ বছর পর নিজের প্রথম বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেয়ে সেটাকে দারুণ ভাবে কাজে লাগানোর পাশাপাশি ম্যাচ সেরার পুরস্কারটা নিজের করে নিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। তাঁর অলরাউন্ড নৈপুণ্যে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ইংলিশরা।
ব্যাট হাতে ৮৯ রানের ইনিংস খেলার পাশাপাশি বল হাতে ১২ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হওয়ার পাশাপাশি ইংলিশদের বড় জয়ে অবদান রেখেছেন স্টোকস। এছাড়া বিশ্বকাপের আগে দলে সুযোগ পাওয়া জোফরা আর্চার নিজের জাতটা বেশ ভালোভাবেই চিনিয়েছেন। ২৭ রান খরচায় তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ইংলিশদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান প্রোটিয়া দলপতি ফাফ ডু প্লেসিস। তাঁর আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয় নি স্বাগতিকদের। বিশ্বকাপ মঞ্চে এই প্রথম শুরুর ওভারে স্পিনার দিয়ে বোলিং করিয়ে ইতিহাস গড়ার পাশাপাশি সাফল্য তুলে নেয় দক্ষিণআফ্রিকা।
ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই কুইন্টন ডি ককের হাতে উইকেটের পেছনে ইমরান তাহিরের ঘূর্ণিতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন জনি বেয়ারস্টো। ১ বলে ০ রান করেন তিনি। এরপর আরেক ওপেনার জেসন রয় এবং টেস্ট দলপতি জো রুট মিলে ইংলিশদের চাপমুক্ত করার চেষ্টায় খেলতে থাকেন। দুজনের ব্যাটে দেখে শুনে খেলে দলীয় ১০০ পার করে ইংলিশরা।

রুট এবং রয় দুজনই তুলে নেন ফিফটি। কিন্তু দুজনকেই খানিক পর বিদায় করেন আন্দাইল ফেহলুকেয়ো এবং কাগিসো রাবাদা। দ্রুত দুই ব্যাটসম্যান বিদায় নিলেও অধিনায়ক ইয়ন মরগান এবং বেন স্টোকস মিলে দলের স্কোরবোর্ডে রান যোগ করতে থাকেন।
প্রোটিয়া বোলারদের বিপক্ষে নিজেদের সহজাত ব্যাটিং করে ফিফটি তুলে নেন তাঁরা। মরগান ৫৭ করে তাহিরকে উইকেট ছুঁড়ে দিলেও ক্রিজে থিতু হয়ে খেলতে থাকেন স্টোকস। নিচের দিকের ব্যাটসম্যানরা বড় স্কোর যোগ করতে না পারলেও বেন স্টোকসের ৮৯ রানের উপর ভরে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩১১ রানের পুঁজি পায় ইংলিশরা।
৩১২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয় নি আফ্রিকার। জোফরা আর্চারের ১৪৫ গতির বাউন্সারে আহত হয়ে ৫ রানে মাঠ ছাড়েন আমলা। তাঁর পরিবর্তে ক্রিজে নামা তরুণ এইডেন মার্করাম জোফরা আর্চারকে ১১ রানে থাকা অবস্থায় উইকেট ছুঁড়ে দেন, খানিক পর অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিসকেও বিদায় করেন তিনি।
৪৪ রানে ২ উইকেট হারানো আফ্রিকার পক্ষে হাল ধরেন কুইন্টন ডি কক এবং ভ্যান ডার ডাসেন। দুজন মিলে ৮৫ রানের জুটি গড়লেও ৬৮ রানে প্লাঙ্কেটকে উইকেট ছুঁড়ে দেন ডি কক। খানিক পর ডুমিনিও ৮ রান করে মঈন আলির বলে বিদায় নেন। এরপর আর ম্যাচে ফেরা হয় নি দক্ষিণ আফ্রিকার।
৫০ রান করা ভ্যান ডার ডাসেন আর্চারের তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরলেও ক্রিজে নামেন আহত হয়ে মাঠ ছাড়া আমলা। কিন্তু দ্বিতীয় বার ক্রিজে নেমে কিছু করতে পারেন নি তিনি। ১৩ রানে প্লাঙ্কেটকে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে ফিরলে ২০৭ রানে অল আউট হয় ফাফ ডু প্লেসিসের দল। ১০৪ রানের পরাজয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
ইংল্যান্ডঃ ৩১১/৮ (৫০ ওভার) (স্টোকস ৮৯) (লুঙ্গি এনগিডি ৩/৬৬)
দক্ষিণ আফ্রিকাঃ ২০৭ অল আউট (৩৯.৫ ওভার) (ডি কক ৬৮) (আর্চার ৩/২৭)