রান পাহাড়ে ইংল্যান্ড, চ্যালেঞ্জের মুখে প্রোটিয়ারা

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপটি যে রান বন্যার হবে সেটি আগে থেকেই ধারণা করেছিলেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৩১১ রানের বিশাল পুঁজি দাঁড়া করিয়ে তারই প্রমাণ যেন দেখিয়ে দিল স্বাগতিক ইংল্যান্ড।
লন্ডনের কেনিংটন ওভালে ফেভারিটের তকমা লাগিয়ে খেলতে নামা ইংলিশরা আজ শুরুতে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে নিজেদের স্বভাবসিদ্ধ ব্যাটিংটাই করেছে। সম্প্রতি পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা চার ওয়ানডেতে তিনশ ঊর্ধ্ব ইনিংস উপহার দিয়েছিল ইংল্যান্ড। এবার সেই ধারাবাহিকতা আজও বজায় রাখলো তারা।
আর ইংল্যান্ডের এই বিশাল সংগ্রহের পেছনে মূল কলকাঠি নেড়েছেন অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। মাত্র ৭৯ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৮৯ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। অবশ্য কম যাননি ওপেনার জ্যাসন রয়, তিন নম্বরে নামা জো রুট এবং এবং অধিনায়ক ইয়ন মরগানও। এই তিন ব্যাটসম্যানই পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরির দেখা। রয় ৫৩ বলে ৫৪, রুট ৫৯ বলে ৫১ এবং মরগান ৬০ বলে ৫৭ রান করেছেন।
প্রোটিয়াদের পক্ষে বল হাতে কিছুটা সফল ছিলেন পেসার লুঙ্গি এনগিদি এবং স্পিনার ইমরান তাহির। ১০ ওভারে ৬৬ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেছিলেন এনগিদি। অপরদিকে ৬১ রানে ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন তাহির। এছাড়াও কাগিসো রাবাদাও পেয়েছেন ৬৫ রানে ২ উইকেট।

এদিন ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে ইংলিশদের ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। এরপর খেলতে নেমে মাত্র ১ রান তুলতেই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টোর বিদায়ে বিপদে পড়েছিল স্বাগতিকরা। কুইন্টন ডি ককের হাতে ক্যাচ বানিয়ে তাঁকে সাজঘরে পাঠান প্রোটিয়া লেগ স্পিনার ইমরান তাহির।
শুরুতে উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে রয় এবং রুটের ১০৬ রানের দারুণ জুটিতে বিপদ কাটিয়ে ওঠে ইংল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত এই জুটিটি ভাঙ্গতে সক্ষম হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ডানহাতি পেসার আন্দিলে ফেহলুকায়ো। ৫৪ রান করা রয়কে ডু প্লেসিসের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছিলেন তিনি।
মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে বিদায় নিতে হয়েছে রুটকেও। দলীয় ১১১ রানের মাথায় কাগিসো রাবাদার প্রথম শিকারে পরিণত হন তিনি। পরবর্তীতে চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক ইয়ন মরগান এবং অলরাউন্ডার স্টোকস আরেকটি ১০৬ রানের জুটি গড়েন।
এই জুটি গড়ার মধ্য দিয়ে মরগান তুলে নেন তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৬তম হাফসেঞ্চুরি। যদিও এরপর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ২১৭ রানের মাথায় তাহিরের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন মরগান। তাঁর বিদায়ের পর জস বাটলারের সাথে ৩০ রানের জুটি গড়েছিলেন স্টোকস।
কিন্তু এনগিদির বলে বোল্ড হয়ে বাটলার ফিরলে ছন্দপতন হয় ইংলিশ শিবিরে। তবে একপ্রান্ত ঠিকই আগলে রেখে ব্যাটিং করে গিয়েছেন স্টোকস। এনগিদির করা ইনিংসের ৪৯ তম ওভারের শেষ বলটিতে হাশিম আমলার হাতে ক্যাচ দিয়ে শেষ পর্যন্ত ফিরেছেন তিনি। তার আগেই অবশ্য দলকে তিনশ ছাড়ানো পুঁজির ভিত গড়ে দিয়েছেন এই বাঁহাতি।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
ইংল্যান্ডঃ ৩১১/৮ (৫০ ওভার) (মরগান- ৫৭, স্টোকস-৮৯; এনগিদি-৩/৬৬, তাহির-২/৬১)