উদ্বোধনী ম্যাচে প্রোটিয়াদের মুখ???মুখি ইংল্যান্ড

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপের এবারের আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কেনিংটন ওভালে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টায়।
এই বিশ্ব আসরে মাঠে নামার আগে দারুণ আত্মবিশ্বাসী ইংল্যান্ড। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ঘরের মাঠে ১৫টি ম্যাচ খেলেছে ইংলিশরা। এর মধ্যে মাত্র ১টি ম্যাচে হারের স্বাদ পেয়েছে ইয়ন মরগানের দল।
ঘরের মাঠে ১৭টি ম্যাচের মধ্যে ২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। ১৯৯৬ বিশ্বকাপ থেকে টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর বিপক্ষে ২৭টি ম্যাচ খেলে তাঁরা জয় পেয়েছে মাত্র ৭ ম্যাচে।
৭টি জয়ের মধ্যে ২টি উইন্ডিজের বিপক্ষে। তাছাড়া একটি করে জয় রয়েছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এদিকে নিজেদের মাটিতে টানা ১৬ ম্যাচে রান তাড়া করে জয়ের পরিসংখ্যান নিয়ে খেলতে নামবে ইংল্যান্ড।
অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড থেকেই বাদ পড়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। তবে, গত বিশ্বকাপের পর থেকেই বদলে গেছে ইংল্যান্ড দল। সাম্প্রতিক পারফর্মেন্সই তাঁর প্রমাণ।
ফলে, এই বিশ্বকাপে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা ইংল্যান্ডের পক্ষেই বাজি ধরছেন। আইসিসির র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থেকেই ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ শুরু করবে ইংল্যান্ড। এদিকে, ২০১৯ বিশ্বকাপ শুরুর আগে দারুণ ছন্দে আছে প্রোটিয়ারা।

আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে তিন ফরম্যাটেই শীর্ষ তিনে ফাফ ডু প্লেসিসের দক্ষিণ আফ্রিকা দল। প্রতিটি বিশ্বকাপে ফেভারিট হিসেবে খেলতে নামলেও সাফল্যের চেয়ে ব্যর্থতাই বেশি সঙ্গী হয়েছে তাদের।
প্রথমবারের মতো ১৯৯২ বিশ্বকাপে এসে চমকে দিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল তাঁরা। কিন্তু এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেই তাদের ফাইনালের আশা নিভে যায়।
১৯৯৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নাটকীয় ভাবে ঘরে ফিরে তাঁরা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি টাই হয়েছিল। কিন্তু গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে থাকায় ফাইনালের টিকেট পায় তাঁরা।
এরপর আরও দুই আসরে (২০০৭ ও ২০১৫) শেষ চারে খেললেও ফাইনালে খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়নি তাদের। এবার সেই অধরা ফাইনালের লক্ষ্যেই খেলতে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
অবশ্য টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তাঁরা পাচ্ছে না তারকা পেসার ডেল স্টেইনকে। কাঁধের চোটের কারণে টুর্নামেন্টের শুরুর ম্যাচে খেলা হচ্ছে না এই পেসারের। ইংল্যান্ড দলে বেশ কিছু চোট সমস্যা থাকলেও সেরা দল নিয়েই প্রোটিয়াদের মুখোমুখি হবে তাঁরা।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস জানিয়েছেন কোনো ভাবেই এবার সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে চায়না তাঁর দল। বিশ্বকাপের জন্য জীবন থমকে থাকবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।
‘দল হিসেবে আমরা অবশ্যই বিশ্বকাপ জিততে চাইব। এটাই তো সবার চাওয়া। এবারও যদি সেমিফাইনাল থেকে আমাদের বিদায় নিতে হয় তাহলে অবশ্যই সবচেয়ে বাজে চিত্র দাঁড়াবে। আমরা হয়তো বিশ্বকাপ জিততে পারিনি, এই তো। তবে জীবন তো আর থমকে থাকবে না। এগিয়ে যাবে।’
এদিকে, বিশ্বকাপ শুরুর আগে দারুণ আত্মবিশ্বাসী স্বাগতিক ইংল্যান্ড। স্বাগতিক হিসেবে খেলতে নামা দারুণ চ্যালেঞ্জ। তবে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত মরগানরা। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে জয় দিয়েই সেই চাপ কাটিয়ে উঠতে চায় ইংল্যান্ড।
‘ড্রেসিংরুমে সবার মধ্যে অনেক বিশ্বাস আছে। আমরা আমাদের খেলা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। কোনও বিশ্বকাপ বা অ্যাশেজের প্রথম ম্যাচ সবসময় ভিন্ন এবং এটাই স্বাভাবিক। চাপের সঙ্গে মোকাবিলা করা একটা চ্যালেঞ্জ কিন্তু আমরা মুখিয়ে আছি। যে কোনও পরিস্থিতিতে একটি জয় (দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে) আমাদের চাপ কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।’
ইংল্যান্ড একাদশ (সম্ভাব্য): জেসন রয়, জনি বেয়ারস্টো, জো রুট, ইয়ন মরগান (অধিনায়ক), জস বাটলার (উইকেটরক্ষক), বেন স্টোকস, মইন আলি, ক্রিস ওকস, লিয়াম প্লাঙ্কেট / মার্ক উড, জোফরা আর্চার এবং আদিল রশিদ।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ (সম্ভাব্য): হাশিম আমলা, কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), এইডেন মার্করাম / রসি ভ্যান ডার ডুসেন, ফাফ ডু প্লেসিস (অধিনায়ক), জেপি ডুমিনি, ডেভিড মিলার, অ্যান্ডি ফেহলুকায়ো, ক্রিস মরিস, কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিদি, এবং ইমরান তাহির।