শ্রীলঙ্কার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন জয়াবর্ধনে

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
শ্রীলঙ্কা দলের সঙ্গে বেশ কয়েকবার কাজের প্রস্তাব পেয়েও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সাবেক লঙ্কান অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে। তিনি জানিয়েছেন এই জায়গাটা তাঁর কাজের জন্য ঠিক নয়।
বিশ্বকাপের আগেও তাকে জাতীয় দলের সঙ্গে চাইছিল লঙ্কানরা। সেই প্রস্তাবও নাকচ দিয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপের দল নির্বাচন হয়ে গেছে। মাঠের লড়াইয়ের বাকি মাত্র কয়েকদিন। ফলে এই স্বল্প সময়ের মধ্যে বোর্ডের সঙ্গে আর জড়াতে চান না জয়াবর্ধনে।
‘আমাকে বেশ কয়েকবার অনেক কমিটিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, কিন্তু আমি তাতে সাড়া দেইনি। আমার দায়িত্বটা কী হবে সেটাই তো পরিষ্কার করে বলা হচ্ছিল না। আর এমন পরিস্থিতিতে দলের কৌশলগত বিষয়ের সাথে জড়িত হওয়ার কোন মানে নেই। চূড়ান্ত দল নির্বাচন হয়ে গেছে। আমার আর কী কাজ? দলের ম্যানেজমেন্টে কিছুটা ভূমিকা রাখতে পেরেই খুশি। বোর্ডের আর কোনকিছুর সাথে জড়াতে চাই না। তাদের সাথে কাজ করার আমার রুচি নেই। আমার জন্য এই জায়গাটাও ঠিক না।’

বেশ কিছুদিন ধরেই অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ক্রিকেট। তাই ঘরোয়া ক্রিকেটকে ঢেলে সাজাতে তিন সাবেক ক্রিকেটার জয়াবর্ধনে, কুমার সাঙ্গাকারা ও অরবিন্দা ডি সিলভা বোর্ড সভাপতিকে একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
সেই প্রস্তাব আমলেই নেয়নি তাঁরা। সেজন্যই নিজেকে লঙ্কান ক্রিকেট থেকে গুটিয়ে রেখেছেন জয়াবর্ধনে। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেট কাঠামো ভেঙে পড়বে বলে মনে করেন তিনি।
‘আমরা আট মাস ধরে ওই প্রস্তাবটা তৈরি করেছিলাম। আমাদের প্রস্তাবকে তাঁরা সরাসরি নাকচ করে দিয়েছিল। আমরা এটা করেছিলাম কারণ আমরা চাইনা দেশের ক্রিকেটাররা অস্ট্রেলিয়া কিংবা ইংল্যান্ডের লিগে চলে যাক। ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের দরকার। আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের অনেক দলেরই গড় বয়স ২৫, এটা খুবই হতাশাজনক। আমাদের সময় দলে সিনিয়র ক্রিকেটাররা থাকছেন। তাদের ছাড়া আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামো ভেঙ্গে পড়বে। তখন স্টেডিয়াম বানিয়েও লাভ হবে না।’
বছর চারেক আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন জয়াবর্ধনে। তাঁর বিদায়ের পর কোনো অধিনায়কই লম্বা সময় থাকতে পারেননি। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও দীনেশ চান্দিমাল বোর্ডের সঙ্গে দ্বন্দ্বে দুজনই অধিনায়কত্ব হারিয়েছেন।
ম্যাথিউস ও চান্দিমাল দুজনই অধিনায়ক হিসেবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন বলে মনে করেন জয়াবর্ধনে। বিশ্বকাপের আগেই নতুন অধিনায়ক হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে দিমুথ করুনারত্নেকে।
‘আমি আর সাঙ্গা ম্যাথিউসকে বলেছিলাম বোর্ডের ক্রিকেট রাজনীতির সাথে না জড়িয়ে পড়তে। তাকে আরও বেশি শক্ত হতে হতো। সে সেটা পারেনি, অন্যরা তাঁর হয়ে সিদ্ধান্ত নিতো। সে হাল না ছেড়ে দিলে আজকের অবস্থাটা দাঁড়াতো না। এটা তাকে আগেও বলেছি, এখনো বলি। শ্রীলংকার অধিনায়ক হতে হলে অনেক ব্যাপার সামলাতে হয়, সামনে থেকে নেতৃত্বও দিতে হয়। সে অসাধারণ ক্রিকেটার হলেও সেটা পারেনি। আমার মনে হয় চান্ডিমালও একই ঘটনার শিকার। সেও ম্যাথিউসের মত অন্যদের হাতে দলের নিয়ন্ত্রণ তুলে দিয়েছে।’