এইচপি প্রোগ্রাম ও এ দলের গুরুত্ব দেখালেন হেলমট

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নের ক্ষেত্রে এইচপি প্রোগ্রাম এবং এ দল যে কতটা গুরুত্ববহ সেটি তুলে ধরেছেন এইচপি ইউনিটের কোচ সাইমন হেলমট। আয়ারল্যান্ড সফরে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের দলে থাকা নাঈম হাসান, ইয়াসির আলি রাব্বি এবং আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি সকলেই ছিলেন এইচপির ফসল।
আর টুর্নামেন্টের ফাইনাল যে মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেই ডাবলিনের ম্যালাহাইডে গতবছর আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে শেষ টি টুয়েন্টি ম্যাচে মাত্র ৩৯ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় করেন ৮০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন বাংলাদেশ এ দলের হয়ে খেলা মোহাম্মদ মিঠুন। আর ৩০ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৭ রান এসেছিল সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে। সবমিলিয়ে এ দল এবং এইচপি যে ওতপ্রোতভাবে জড়িত সেটি তুলে ধরেছেন সাইমন হেলমট,

'আয়ারল্যান্ড সিরিজটি দারুণ ছিল এবং সেখানে থাকা স্কোয়াডের কিছু ক্রিকেটার গত কয়েক বছর ধরে এইচপি প্রোগ্রামের সাথে অন্তর্ভুক্ত আছে। এইচপি প্রোগ্রাম এবং 'এ' দল খুবই কাছ থেকে কাজ করে। তারা জাতীয় দলে যারা খেলবে তাঁদের যথাযথভাবে প্রস্তুত করে। গত বছর মিঠুন এবং সৌম্য সরকাররা যখন এ দলের হয়ে সিরিজ খেলেছিলো একই মাঠে এবং সেই মাঠেই এবার জয় ছিনিয়ে আনলো সেটি দেখা আসলেই দারুণ কিছু। মোসাদ্দেক ছিল অবিশ্বাস্য, তবে নাঈম, ইয়াসির আলি এবং রাহির মতো খেলোয়াড়রা যারা প্রোগ্রামটির আওতায় ছিল তাঁদের জাতীয় দলে সুযোগ পেতে দেখা দারুণ ব্যাপার।'
এইচপি প্রোগ্রামের আগামী পরিকল্পনা নিয়েও কথা বলেছেন হেলমট। খুব শীঘ্রই ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ আয়োজন করার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। তাঁর বিশ্বাস ইংলিশ কিংবা অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশনে এইচপি প্রোগ্রামের আওতায় থাকা ক্রিকেটারদের অভ্যস্ত করতে হলে সেখানে সিরিজ আয়োজন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। হেলমটের ভাষায়,
'আমরা এর আগে ডারবান এবং যুক্তরাজ্যে গিয়েছিলাম কারণ আমরা জানতাম যে এক কিংবা দুই বছর আবারো সেই জায়গাগুলোতে আমরা খেলবো। এই বছর ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ এবং আগামী বছর টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে অস্ট্রেলিয়ায়। সুতরাং আমরা অস্ট্রেলিয়া কিংবা ইংল্যান্ডে একটি সিরিজ আয়োজন করার চেষ্টা করতে পারি এবং আমরা সেটি করবো।
সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো আমাদের নিজেদের খেলাটি খেলার পাশাপাশি বেশি ম্যাচ খেলতে হবে। আশা করি আমরা অস্ট্রেলিয়ায় কিংবা অন্য জায়গায় সফর আয়োজন করতে পারবো। যেখানে ক্রিকেটাররা কন্ডিশন এবং পরিবেশের সাথে অভ্যস্ত নয়।'