কোলপাক চুক্তিতে ডু প্লেসিসকে বাঁধা দিয়েছিলেন ডি ভিলিয়ার্স

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিসকে কোলপাকে যাওয়া থেকে বিরত রেখেছিলেন সাবেক প্রোটিয়া তারকা এবি ডি ভিলিয়ার্স। ২০১০ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারের সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ডু প্লেসিসকে চুক্তি নবায়ন করতে নিষেধ করেছিলেন ডি ভিলিয়ার্স।
কোলপাকের প্রস্তাব পাওয়ার পর ডি ভিলিয়ার্সের সাথে কথা হয়েছিল ডু প্লেসিসের। সেসময় প্রোটিয়া দলপতিকে নিবৃত করেছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। দেশের হয়ে খেলাকে বেশি প্রাধান্য দেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে ডি ভিলিয়ার্স নিজেই জানিয়েছেন এমন তথ্য,

'একটা সময় ছিল যখন সে (ডু প্লেসিস) ইংল্যান্ডের একটি কাউন্টি দলে যাওয়ার চিন্তা করছিল। সে তখন আমাকে কল দিয়েছিল এবং আমার কাছে মতামত জানতে চেয়েছিল। আমি বলেছিলাম খুব শীঘ্রই কিছু খেলোয়াড় অবসর নেবে এবং তুমি এর সন্নিকটে। তবে কোচ এবং দল তোমার ব্যাপারে কথা বলেছে, সুতরাং আরও কিছুদিন খেলে যাও (দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে),' বলেন ডি ভিলিয়ার্স।
তবে এর জন্য কোনও কৃতিত্ব নিচ্ছেন না গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো ডি ভিলিয়ার্স। বরঞ্চ সঠিক পথ দেখাতে পেরেই খুশি তিনি। তাঁর ভাষ্যমতে,
'এই কথার পর অবশেষে ফলাফল এসেছে। আমি এর জন্য অবশ্য কোনও কৃতিত্ব নিচ্ছি না, তবে আমাদের কথোপকথন হয়েছিল এই ব্যাপারে এবং আমি বেশ খুশি যে আমি তাঁকে সঠিক পথ দেখাতে পেরেছি।'
২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল ডি ভিলিয়ার্সের। এর প্রায় ছয় বছর পর ২০১১ সালে ভারতের বিপক্ষে নিজের অভিষেক ম্যাচ খেলেন ফাফ ডু প্লেসিস। ডি ভিলিয়ার্স অবশ্য এই বিষয়টিকে দেখছেন সুযোগের সদ্ব্যবহার হিসেবে। তাঁর ভাষায়,
'সে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছে। তবে আমার ক্ষেত্রে এটি দ্রুতই হয়েছে। কিছু সুযোগ এসেছিল এবং সঠিক সময়ে আমি সেটি লুফে নিতে পেরেছি। আমাদের দুইজনের পথ ভিন্ন ছিল, তবে এটাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁকে সঠিকভাবে মানিয়ে নিতে সহায়তা করেছে। আমি মনে করি সে মানসিক দিক থেকে যথেষ্ট ভালো অবস্থানে আছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে।'