promotional_ad

দাপুটে জয়ে শিরোপার খরা কাটল বাংলাদেশের

ছবিঃ সংগৃহীত
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


সৌম্য সরকার ও মোসাদ্দেক হোসেনের অসাধারণ দুইটি ইনিংসে বৃষ্টি বিঘ্নিত ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে উইন্ডিজকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে (বৃষ্টি আইনে) প্রথমবারের মতো কোনো ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জিতল বাংলাদেশ।


ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২৪ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান সংগ্রহ করেছে উইন্ডিজ। বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ২৪ ওভারে ২১০ রানের। 


জবাবে সৌম্যের উড়ন্ত সূচনা ও মোসাদ্দেকের অসাধারণ ফিনিশিংয়ে সাত বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা।


বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী সূচনা করেছেন সৌম্য সরকার। প্রতি ওভারে চার ছয় হাঁকিয়ে ৪.৫ ওভারের মধ্যে দলের ফিফটি নিশ্চিত করেছেন তিনি।


কিন্তু এদিনে ব্যর্থ হন আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল। ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে ফিরেছেন তিনি। ফাইনালের মহা গুরুত্বপূর্ণ দিনে ১৩ বলে ১৮ রান করে শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে জেসন হোল্ডারকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।


তিনে নেমে শুন্য রানে ফিরেছেন সাব্বিরও। গ্যাব্রিয়েলের একই ওভারের শেষ বলে ফিরেছেন তিনি। দলকে ভালো সূচনা এনে দিয়ে ফিরেছেন সৌম্য।



promotional_ad

আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলে মাত্র ২৭ বলে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দশম ফিফটি তুলে নেন সৌম্য। তাঁর মহামূল্যবান উইকেটটি নিয়েছেন রেইমন রেইফার। ফেরার আগে ৪১ বলে ৬৬ রান করেন সৌম্য। 


ইনিংসে ছিল নয়টি চার এবং তিনটি ছক্কার মার। আসরে এটি তাঁর টানা তৃতীয় ফিফটি। সৌম্য ফেরার ঠিক পরের ওভারে অ্যাশলে নার্সের ওভার থেকে ১৭ রান আদায় করেন মুশফিক। কিন্তু তাঁকেও বিদায় করেন রেইফার। ২২ বলে দুটি চার ও দুটি ছয়ে ৩৬ রান করে বিদায় নেন তিনি। 


এরপর অ্যালেনের লেগ বিফোরের ফাঁদে পা দেন মিঠুন। ১৪ বলে ১৭ করে বিদায় নেন তিনি। এরপরে রীতিমতো ইতিহাস রচনা করেন মোসাদ্দেক হোসেন।


গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অসাধারণ এক ক্যামিও খেলেছেন তিনি। মাত্র ২০ বলে ফিফটি করেছেন তিনি, যা ওয়ানডেতে বাংলাদেশীদের মধ্যে সবচেয়ে কম বলে ফিফটি। 


শেষপর্যন্ত দুটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। এর মধ্যে অ্যালেনের একই ওভারে নিয়েছেন ২৫ রান! মাহমুদুল্লাহ অপরাজিত ছিলেন ১৯ রানে। দুজনে গড়েছেন ৭০ রানের মহাকাব্যিক এক জুটি।


এর আগে ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার সুনীল অ্যামব্রিস ও শাই হোপের ব্যাটে দারুণ শুরু পায় উইন্ডিজ।


মাত্র ১৭.৫ ওভারেই কোনো উইকেট না হারিয়ে দলীয় শতকে পৌঁছে যায় তাঁরা। তারপর ২০.১ ওভারের সময় বৃষ্টি হানা দেয় বাংলাদেশ উইন্ডিজ ম্যাচে। 



সেসময়ে উইন্ডিজের সংগ্রহ কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৩১ রান। এরপর প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘন্টা বন্ধ থাকে খেলা। বৃষ্টি থামার পর রাত ১০.৩০ মিনিটে আবারো শুরু হয় ম্যাচ। বৃষ্টির কারণে খেলা কমিয়ে ২৪ ওভারে নামিয়ে আনা হয়।


এরপর ইনিংসের ২৩ ওভারে মেহেদি মিরাজের শিকার হয়ে ফেরেন হোপ। ৬৪ বলে ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কায় ৭৪ রান করে ফেরেন তিনি।


শেষ পর্যন্ত ২৪ ওভারে এক উইকেটে ১৫২ রানে থেমেছে উইন্ডিজ। ৭৮ বলে ৬৯ রান করে অপরাজিত থাকেন অ্যামব্রিস। ডার্ক লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য এসে দাঁড়ায় ২৪ ওভারে ২১০ রানের।


সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ 


উইন্ডিজঃ ১৫২/১ (২৪ ওভার)
(অ্যামব্রিস ৬৯*, হোপ ৭৪; মিরাজ ১/২২)
বাংলাদেশঃ- ২১৩/৫ (২২.৫ ওভার) 
(সৌম্য ৬৬, মোসাদ্দেক ৫২*; রেইফার ২/২৩)



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball