promotional_ad

পারবে তো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা?

ছবিঃ সংগৃহীত
promotional_ad

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||


বিশ্বকাপের আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ দল। মূলত কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতেই এই সিরিজ। কিন্তু কন্ডিশনের সঙ্গে কি টাইগার ক্রিকেটাররা মানিয়ে নিতে পারবে?


এমন কন্ডিশনে মানিয়ে নিতে বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যেতে হবে। ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় পেস বোলিং বান্ধব উইকেটে ভালো ব্যাটিং করতে হবে।


শেষবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টাইগারদের পারফর্মেন্স ছিল ভয়াবহ। টিম সাউদি এবং নেইল ওয়াগনারের পেস বোলিংয়ের সামনে তাঁরা একেবারেই পেরে ওঠেনি। তাঁদের স্কিল নিয়ে বারংবারই প্রশ্ন উঠেছে।


ত্রিদেশীয় সিরিজের দুই দল উইন্ডিজ এবং আয়ারল্যান্ড- উভয়েরই আছে ভালো মানের পেস আক্রমণ। এর মধ্যে আয়ারল্যান্ড নিজেদের শেষ ওয়ানডেতে ইংলিশদের বিপদে ফেলেছে। 


আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁদের ছোটো করে দেখলেই যেকোনো দলকে বিপদে পড়তে হবে- এমন বার্তা আইরিশরা দিয়েছে। আবহাওয়া নিয়েও থাকছে দুশ্চিন্তা। শেষ দুইদিন ডাবলিনের তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। 


বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্টের কথা অনুযায়ী আগামী কিছু দিনেও আবহাওয়া একই রকম থাকবে। যেহেতু বাংলাদেশ দল পুরোপুরি ভিন্ন কন্ডিশন থেকে আয়ারল্যান্ডে পৌঁছেছে, এটা তাঁদের জন্য চিন্তা করার মতই একটি বিষয়।



promotional_ad

'আমার মনে হয় ভিন্ন কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে ক্রিকেটারদের সময় লাগবে। সফল হতে হলে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াই মূল চাবিকাঠি।'; বাংলাদেশ দলের প্রথম টেস্ট ম্যাচের কোচ সারোয়ার ইমরান ক্রিকফ্রেঞ্জিকে বলেছেন।


'আপনি যতক্ষণ না পর্যন্ত কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিবেন ততক্ষণ আপনি ঠিকভাবে নড়াচড়াও করতে পারবেন না। তাই বিদেশের মাটিতে খেলার জন্য কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'


এছাড়া উইন্ডিজ এবং আয়ারল্যান্ডের পেস আক্রমণের সঙ্গেও মানিয়ে নিতে হবে টাইগারদের। উইন্ডিজ দলে শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, কিমার রোচ, শেলডন কটরেল ও জেসন হোল্ডারের মতো কয়েকজন বিশ্বমানের পেসার আছেন।


বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানরা ঘরের মাটিতেই তাঁদের বিপক্ষে ভুগেছেন। আইরিশ কন্ডিশনে তাঁদের বিপক্ষে খেলাটা কঠিন হতেই পারে। আয়ারল্যান্ড স্কোয়াডেও জেবি লিটল নামের একজন বাঁহাতি পেসার আছেন।


এই পেসার অভিষেকেই নিয়েছেন চার উইকেট। তাঁকে খেলতেও কষ্ট হতে পারে টাইগারদের। 


'দুই দলেই অসাধারণ কয়েকজন পেস বোলার আছেন। সমস্যা হচ্ছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা অনেক বেশি খেলিনি, তাই তাঁদের সম্পর্কে কিছুটা কম জানি।


'একারণে তাঁদের বিপক্ষে প্রস্তুতি নেওয়াও বেশ কঠিন হবে। যেমন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওদের এক পেসার চার উইকেট নিয়েছে। তাঁকে আমরা চিনিই না। তাই ম্যাচে তাঁকে আমরা কিভাবে খেলব, এটা নিয়েও আমাদের ভাবতে হবে।'; সারোয়ার ইমরান জানান।



বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং লাইনআপ মূলত চার সিনিয়র ব্যাটসম্যানের উপরে নির্ভরশীল। ভালো করতে হলে এর পাশাপাশি লিটন, সৌম্য ও সাব্বিরদের পারফর্ম করতে হবে।


কিন্তু চিন্তার বিষয় হচ্ছে ইউরোপে এটাই প্রথম সফর লিটনের। সৌম্য ও সাব্বির এর আগে ইংল্যান্ডে খেলেছেন, তবে তাঁদের গড় আশা জাগানিয়া নয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সমান ম্যাচ খেলে সাব্বিরের গড় ১৪.৭৫, সৌম্যের গড় ৮.৭৫।


ইংল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডে পেস বান্ধব উইকেট হলেও ব্যাটিং উপযোগী উইকেট পাওয়া যায়। ব্যাটসম্যানদের সেখানে পেস বলে অবশ্যই পারদর্শী হতে হয়।


একারণে পায়ের ফুটওয়ার্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসব কন্ডিশনে খেলতে হলে ব্যাট আর বলের দূরত্ব খুব কম হওয়া চাই। সারোয়ার ইমরানের মতে, সৌম্য-সাব্বিরদের থেকে ভালো কিছুর প্রত্যাশা করার সময় হয়েছে। একইসাথে ব্যাটিং টেকনিককে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান তাঁর।


'ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে না খেললে সেখানে ভালো করা কঠিন। সৌম্য-সাব্বিররা জাতীয় দলের ড্রেসিং রুমে দুই বছর কাটিয়ে দিয়েছে। তাঁরা আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন নয়।'


'আমাদের ব্যাটসম্যানদের টেকনিকের পরিক্ষা হবে সেখানে। আমাদের সেখানে শরীর থেকে কম দূরত্বে নিয়ে বল খেলতে হবে। দূরত্ব বাড়লেই প্রতিপক্ষের সুযোগ বাড়বে।'



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball