বিশ্ব মঞ্চে পিছিয়ে বাংলাদেশী আম্পায়ার

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আইসিসির এলিট প্যানেল এবং ইমার্জিং প্যানেলে কোনো বাংলাদেশি আম্পায়ার না থাকায় বিশ্বমঞ্চে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ মিলছে না বাংলাদেশিদের। সেই কারণে বরাবরের মতো এবারের বিশ্বকাপেও বাংলাদেশি কেউ থাকছেন না।
আইসিসির আম্পায়ারদের এলিট প্যানেল বর্তমানে ১২ জন সদস্য নিয়ে গঠিত যা অপরিবর্তিত আছে গত ৫ বছর ধরেই। আর ইমার্জিং প্যানেলের সদস্য সংখ্যা ৬ জন। এখান থেকেই উন্নতির ওপর ভিত্তি করে এলিট প্যানেলে সুযোগ দেয়া হবে আম্পায়ারদের।

বিশ্বকাপ এবং অন্যান্য আইসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্টে আম্পায়ার নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে দৈনিক ইত্তেফাকের সাথে কথা বলেছেন বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির ইনচার্জ অভি আব্দুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেছেন,
'ইমার্জিং প্যানেল থেকেই আইসিসি পরে আম্পায়ারদের এলিট প্যানেলে নিয়ে আসে। এভাবেই বিশ্বকাপ বলেন, আইসিসির টুর্নামেন্ট বলেন, এসব জায়গায় দায়িত্ব পায়। এটা একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এমন নয় যে, কেউ হুট করেই একজন বিশ্বকাপ প্যানেলে চলে আসলো। ওই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, যেহেতু বর্তমানে ইমার্জিং প্যানেলে আমাদের কেউ নেই, সে কারণে বিশ্বকাপে কেউ নেই।'
সাধারণত আইসিসির আন্তর্জাতিক প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত থাকা আম্পায়ারদের মধ্য থেকেই ইমার্জিং প্যানেল নির্ধারণ করা হয়। আর এই আন্তর্জাতিক প্যানেলে আছেন বাংলাদেশের চার আম্পায়ার। তাঁরা হলেন শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত, মাসুদুর রহমান মুকুল, গাজী সোহেল ও তানভীর আহমেদ।
এই তিন আম্পায়ারদের থেকে উন্নতি এবং ধারাবাহিকতার দিক থেকে কিছুটা এগিয়ে আছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত। অভি আব্দুল্লাহ আল নোমানের প্রত্যাশা আগামী ২ বছরের মধ্যে সৈকতকে ইমার্জিং প্যানেলেও দেখা যেতে পারে। তাঁর ভাষ্যমতে,
'এখন শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত এগিয়ে আছেন। আশা করছি ২-১ বছরের মধ্যে উনি ইমার্জিংয়ে চলে আসবেন। উনি ভালো করছেন। আম্পায়ারদের পারফরম্যান্স প্রতিনিয়ত রিভিউ হয়। আমি কেন বলছি শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত ভালো করছে, কারণ রিপোর্টগুলো আইসিসি দেয়, আমাদের কাছে আসে এবং আম্পায়ারদের কাছেও যায়।