সুপার ওভারের নাটকীয় ম্যাচে জিতে প্লে-অফে মুম্বাই

ছবি: ছবিঃ- বিসিসিআই

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সুপার ওভারের টানটান উত্তেজনার ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে হারিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ঘরের মাঠে পাওয়া এই জয়ের পর পয়েন্ট তালিকায় ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে মুম্বাই। প্লে অফ নিশ্চিত হয়েছে দলটির।
অপরদিকে ১৩ ম্যাচে ছয় জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিক??র চতুর্থতেই থাকল হায়দ্রাবাদ। প্লে অফ নিশ্চিত করতে শেষ ম্যাচে জয় ছাড়াও কয়েকটি সমীকরণের অপেক্ষা করবে দলটি।
আগে ব্যাট করে জাসপ্রিত বুমরাহ'র করা সুপার ওভারে মাত্র চার বল খেলতে পারে হায়দ্রাবাদ। মানিশ পান্ডে এবং মোহাম্মদ নবীর উইকেট হারিয়ে করে আট রান। রশিদ খানের ওভারে মাত্র তিন বল খেলেই এই লক্ষ্য অতিক্রম করেন হার্দিক পান্ডিয়া এবং কাইরন পোলার্ড।
এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৩ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়েছে হায়দ্রাবাদের। তবে তা ধরে রাখতে পারেনি দলটি। ১৫ বলে পাঁচটি চারে ২৫ রান করে ফিরে যান ঋদ্ধিমান সাহা।
এরপরে ১১ বলে ১৫ রান করে ফিরে যান এবারের আইপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা মার্টিন গাপটিল। দলীয় ৫৭ রানের মধ্যে এই দুজনকে ফিরিয়েছেন বুমরাহ।

এরপরে মিডল অর্ডার খেই হারিয়েছে হায়দ্রাবাদের। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ৩, বিজয় শঙ্কর ১২ ও অভিষেক শর্মা ২ রানে ফেরত গিয়েছেন।
কেবল একপাশ আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন মানিশ পান্ডে। দলের যখন ৩৩ বলে ৫৮ রানের প্রয়োজন তখন মানিশের সঙ্গে যোগ দেন দলের আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী।
সেখান থেকে দেখেশুনে খেলে দলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন এই দুজন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৭ রান প্রয়োজন ছিল হায়দ্রাবাদের। হার্দিকের সেই ওভারের চতুর্থ বলে ফিরেছেন নবী।
যাওয়ার আগে করেছেন ২০ বলে দুটি ছক্কা ও সমান চারে ৩১ রান। এরপরে শেষ বলে জিততে সাত রানের প্রয়োজন হলে ছক্কা মেরে সুপার ওভার নিশ্চিত করেন মানিশ।
৪৭ বলে আটটি চার ও দুটি চক্কায় ৭১ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। মুম্বাইয়ের হয়ে হার্দিক, ক্রুনাল ও বুমরাহ দুইটি করে উইকেট লাভ করেন।
ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান তোলে মুম্বাই। পাওয়ার প্লে'র শেষ ওভারে ১৮ বলে পাঁচটি চারে ২৪ রান করে বিদায় নেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
এরপরে ৫৪ রানের জুটি গড়েন কুইন্টন ডি কক এবং সুরিয়াকুমার যাদব। ১৭ বলে ২৩ রান করা যাদব বিদায় নেওয়ার পর বিদায় নেন এভিন লুইস (১)।
অপরপ্রান্তে দেখেশুনেই খেলেছেন ডি কক। নিজের ফিফটিও তুলে নেন তিনি। শেষে হার্দিকের ১৮, পোলার্ডের ১০ ও ক্রুনালের ৯* রানের সুবাদে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়ে মুম্বাই।
ডি কক শেষপর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৫৮ বলে ৬৯ রান করে। ইনিংসে ছিল ছয়টি চার ও দুটি ছক্কার মার। হায়দ্রাবাদের হয়ে ৪২ রান খরচায় তিনটি উইকেট নিয়েছেন খলিল আহমেদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ-
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সঃ- ১৬২/৫ (২০ ওভার)
(ডি কক ৬৯*, শর্মা ২৪; খলিল ৩/৪২)
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদঃ- ১৬২/৬ (২০ ওভার)
(মানিশ ৭১*, নবী ৩১, হার্দিক ২/২০)