মিঠুনের অলঙ্কার বিশ্বকাপ

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
প্রথমবারের মত বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া যে কোনো ক্রিকেটারের জন্য বিশেষ অর্জন। বিশ্বকাপে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা ক্যারিয়ারে অলঙ্কারের মতন। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুনের জন্য এবারের বিশ্বকাপও ঠিক অলঙ্কারের গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজেও অংশ নিবেন তিনি। বিশ্বকাপ মিশনে দেশ ছাড়ার আগে দৈনিক মানবজমিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মিঠুন জানিয়েছেন বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার অনুভূতির কথা।
'আমি মনে করি, বিশ্বকাপে খেলা একজন ক্রিকেটারের জীবনে অলঙ্কারের মতো। লম্বা সময় ধরে ক্রিকেট খেলতে গেলে এর মধ্যে বিশ্বকাপ চলে আসবেই। যেমন একটি সুন্দর মালা গাঁথতে সুন্দর কিছু ফুল লাগে। সহজ করে বললে, বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ হলো একজন ক্রিকেটারের জীবনের পূর্ণতা।'

তবে মিঠুনের জন্য বিশ্বকাপের বড় স্বপ্ন দেখা সহজ ছিল না। ২০০৯ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে ছিলেন তিনি। কিন্তু খেলার আগেই বাদ পড়তে হয় তাঁকে। এরপর হতাশার সাথে লড়াই করতে করতে অনেকটা সময় কেটে যায়। ক্রিকেটে সচেতন হতে যথেষ্ট সময় নেন তিনি।
২০১৩ সালে বিয়ে করে নতুন জীবনে পা দেয়ার পর পরিবর্তন আসে মিঠুনের ক্যারিয়ারে। ২০১৬ সালে ফের টি-টুয়েন্টি দিয়েই জাতীয় দলে জায়গা হয় মিঠুনের, খেলেছেন ২০১৬ সালের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপও। কিন্তু বাজে ফর্মের কারণে দল থেকে বাদ পড়তে হয় তাঁকে।
২০১৮ সালে ফের জাতীয় দলে জায়গা হয় তাঁর। শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে ও বাংলাদেশের মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজ দিয়ে জাতীয় দলে জায়গা হয় মিঠুনের। সেখান থেকেও থিতু হতে পারেননি তিনি। অবশেষে ২০১৮ সালে এশিয়া কাপে দারুণ পারফর্মেন্স করে জাতীয় দলে নিয়মিত হন তিনি। ২৮ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানের বক্তব্য,
'সত্যি কথা বলতে, আমার আসলে বিশ্বকাপ নিয়ে কোন স্বপ্ন ছিল না। বিশ্বকাপ খেলব তাও ভাবিনি। আমার স্বপ্ন ছিল শুধুই ক্রিকেট নিয়ে। যেটা ছিল আমি চেয়েছি একজন ভালো ক্রিকেটার হতে। একদিন আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলব এবং সেটিও লম্বা সময় ধরে। এখনো সেই চেষ্টাতেই আছি। ভালো ক্রিকেট খেলতে পারলে এমন বড় সুযোগ আসতে পারে, তাই ভাবতাম।'
নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর ঘরোয়া ক্রিকেটেও বেশ কিছুদিন থেকে ধারাবাহিক পারফর্মেন্স করছেন মিঠুন। ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের (ডিপিএল) গত আসরে ব্যাট হাতে ১০ ম্যাচে ৩২২ রান সংগ্রহ করেছিলেন আবাহনীর এই ক্রিকেটার। যেখানে হাঁকিয়েছিলেন ২টি হাফসেঞ্চুরি। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেট আর আন্তর্জাতিক যে এক নয় সেটি নিজেই মানছেন মিঠুন।