|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারানোর পরের ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকেও হারিয়েছে স্টিভ স্মিথের রাজস্থান রয়্যালস। এই জয়ে প্লে অফের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখল তাঁরা।

প্রথমে দলের বোলারদের সম্মিলিত বোলিং, এরপরে লিয়াম লিভিংস্টোন, আজিঙ্কা রাহানে এবং সাঞ্জু স্যামসনের ব্যাটে সাত উইকেটে জয় নিশ্চিত করেছে দলটি। 

১৬১ রানের মাঝারী রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ভালো খেলেছেন রাজস্থানের দুই ওপেনার রাহানে এবং লিভিংস্টোন। ছয় ওভারে ৬০ রান তুলে নিয়েছেন তাঁরা। 

দলীয় ৭৮ রানে রাজস্থানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছেন রশিদ খান। চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ২৫ বলে ৪৪ রান করে ঋদ্ধিমান সাহাকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন লিভিংস্টোন।

নিজের তৃতীয় ওভারে রাহানেকে ফিরিয়েছেন সাকিব। ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে রাহানে করেন ৩৪ বলে ৩৯ রান। দ্বিতীয় ওভারে সাত রান দেওয়া সাকিব এই ওভারে দেন ১১ রান।  

এরপরে ইনিংসের হাল ধরেন সাঞ্জু স্যামসন এবং স্টিভ স্মিথ। ১৬ বলে ২২ রান করে খলিল আহমেদের বলে ফিরে যান স্মিথ। ৩২ বলে ৪৮* রান করে শেষপর্যন্ত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন স্যামসন।

হায়দ্রাবাদের হয়ে এদিনে ৩.১ ওভারে ২৬ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন সাকিব।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিংয়ে ২৮ রান যোগ করেন দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও কেন উইলিয়ামসন। শ্রেয়াশ গোপালের বলে বোল্ড হয়ে মাত্র ১৩ রান করে ফিরেছেন উইলিয়ামসন।

দ্বিতীয় উইকেটে মনিষ পান্ডেকে নিয়ে ৭৫ রান যোগ করেছেন ওয়ার্নার। জুটি গড়ার পথে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে মাত্র ২৭ বলে অর্ধশতক তুলে নেন মনিষ।

দারুণ খেলতে থাকা ওয়ার্নার ৩৭ রান করে ওশান থমাসের বলে স্টিভ স্মিথের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন। এরপর মনিষকে সঙ্গ দিতে আসেন বিজয় শঙ্কর। 

এই দুজনের জুটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মাত্র ৩৬ বলে ৬১ রান করা মনিষ ফিরেছেন শ্রেয়াশ গোপালের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। এরপর উইকেটে আসেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব।

বিজয় শঙ্কর ১০ বলে মাত্র ৮ রান করে আউট হয়েছেন অ্যারনের বলে উনাদকাটের হাতে ক্যাচ দিয়ে। পঞ্চম উইকেটে সাকিবের সঙ্গে যোগ দেন দীপক হুদা। তিনিও স্থায়ী হতে পারেননি।

প্রথম বলেই উনাদকাটের বলে তাকেই ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন। ঋদ্ধিমান সাহা ৫ বলে ৫ রান করে  ফিরেছেন থমাসের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে।

দারুণ শুরু করলেও মাত্র ১০ বলে ৯ রান করে সাকিব উনাদকাটের বলে ক্যাচ দিয়েছেন শ্রেয়াশ গোপালের হাতে। ভুবনেশ্বর ১ রান করে অ্যারনের দ্বিতীয় শিকার হলেও রশিদ খান দলের মাঝারি সংগ্রহ নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন।

তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৮ বলে ১৭ রানের অপরাজিত ইনিংস। কৌল কোনো রান না করেই অপরাজিত ছিলেন।

জয়পুরে, ঘরের মাঠে পাওয়া জয়ে পয়েন্ট তালিকায় সাত থেকে ছয়ে উঠে আসলো রাজস্থান। অপরদিকে ১১ ম্যাচে পাঁচ জয়ে চার নম্বরেই রইলো হায়দ্রাবাদ।

রাজস্থানের এই জয়ে প্লে অফ নিশ্চিত হয়েছে টেবিলের শীর্ষে থাকা চেন্নাইয়ের। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে আসর থেকে এখনও কোন দলই ছিটকে পড়েনি। সবগুলো দলেরই সম্ভাবনা আছে প্লে অফ নিশ্চিত করার।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ- 

সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদঃ ১৬০/৮ (২০ ওভার)
(মনিষ ৬১, ওয়ার্নার ৩৭; উনাদকাট ২/২৬)
রাজস্থান রয়্যালসঃ ১৬১/৩ (১৯.১ ওভার)
(স্যামসন ৪৮*, লিভিংস্টোন ৪৪*; সাকিব ১/২৬)