টি-টুয়েন্টি সিরিজে প্রোটিয়াদের মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
টেস্ট সিরিজে বেশ চমক দেখিয়েই ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। ওয়ানডে সিরিজে প্রোটিয়াদের কাছে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে লঙ্কানরা। এবার টি-টুয়েন্টি মিশনে মাঠে নামছে দুই দল।
মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। কেপটাউনে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় শুরু হবে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। সফরের শেষ সিরিজটি জিততে মরিয়া দক্ষিণ আফ্রিকা- শ্রীলঙ্কা উভয় দলই।
এবার আন্ডারডগ হয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। তবে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়েছিল তারা। ফুরফুরে মেজাজে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নেমে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় পড়তে হয়েছে লঙ্কান দলকে।

টেস্ট সিরিজ হারের পর দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা দল। এত সহজে ওয়ানডে সিরিজ জেতা সম্ভব হবে ভাবনায় ছিল না প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিসের। তিনি মনে করেন ওয়ানডে সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস টি-টুয়েন্টিতে কাজে লাগবে।
'টেস্ট সিরিজ হারের পর দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দল। এত সহজে ওয়ানডে সিরিজ আমরা জিততে পারব, তা ভাবিনি। এজন্য সম্পূর্ণ প্রশংসা দলের খেলোয়াড়দের। বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজ জয়, আমাদের অনেক বেশি অনুপ্রেরনা যোগাবে। আশা করবো, ওয়ানডে সিরিজ জয়ের অর্জন টি-টোয়েন্টি লড়াইয়ে কাজে লাগবে। টি-টোয়েন্টিতে আমরা আরও শক্তিশালী দল। তাই এই সিরিজ জয়ই আমাদের মূল লক্ষ্য।'
এদিকে, লঙ্কান অধিনায়ক লাসিথ মালিঙ্গা মনে করেন ওয়ানডে সিরিজ হারা তাঁর দলের জন্য বড় দুঃসংবাদ। বিশেষ করে বিশ্বকাপের আগে এটা অনেক প্রভাব ফেলবে। তবে এখন তাদের চিন্তায় কেবল টি-টুয়েন্টি সিরিজ।
'দুর্দান্তভাবে সফর শুরু করেছিল দল। কিন্তু ওয়ানডেতে আমরা ভালো করতে পারিনি। বিশ্বকাপের আগে এভাবে সিরিজ হার মোটেও ভালো সংবাদ নয়। আমাদের আরও বেশি পরিশ্রম করতে হবে এবং নিজেদের নিয়ে বসতে হবে। অনেক বেশি আলোচনা করতে হবে। কিভাবে ওয়ানডেতে ভালো করা যায়। তবে এখন আমাদের সামনে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এটিই নিয়ে বেশি ভাবতে হবে। টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভালো করা ছাড়া আর কোনো উপায় আমাদের নেই।'
ক্রিকেটের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটে মোট ১০বার মুখোমুখি হয়েছে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সমান ৫ বার করে জিতেছে দুই দল। তবে সিরিজ জয়ের ক্ষেত্রে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা। তিনটি সিরিজের মধ্যে লঙ্কানদের ঝুলিতে গেছে দুইটি। বাকি একটিতে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ (সম্ভাব্য): কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), রেজা হেন্ডরিক্স, ফাফ ডু প্লেসিস (অধিনায়ক), ভ্যান ডার ডুসেন, জেপি ডুমিনি, ডেভিড মিলার, অ্যান্ডি ফেহলুকায়ো, কাগিসো রাবাদা, অ্যানরিক নৎজে, লুঙ্গি এনগিদি, ইমরান তাহির।
শ্রীলঙ্কা একাদশ (সম্ভাব্য): নিরোশানশন ডিকওয়েলা (উইকেটরক্ষক), সাদিরা সামারাবিক্রমা, কুশাল মেন্ডিস, অ্যাঞ্জেলো পেরেরা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, থিসারা পেরেরা, ইশুরু উদানা, কামিন্দু মেন্ডিস, আকিলা ধনঞ্জয়া, লাসিথ মালিঙ্গা (অধিনায়ক), সুরাঙ্গা লাকমল।