দুঃসহ সেই পরিস্থিতির বর্ণনায় চন্দ্রশেখর

ছবি: ছবিঃ বিসিবি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলায় অল্পের জন্য বেঁচে যাওয়া বাংলাদেশ দলের সাথে ছিলেন পারফর্মেন্স অ্যানালিস্ট শ্রীনিভাস চন্দ্রশেখর। ফলে খুব কাছ থেকেই ঘটনাটি দেখার সুযোগ হয়েছে তাঁর। তামিম, মিরাজদের সাথে বাস থেকে নামার কিছুক্ষণ পরেই গুলির আওয়াজ পেয়েছিলেন এই ভারতীয়।
দক্ষিণ হেগলি পার্কে অবস্থিত মসজিদের খুব কাছে ছিলেন তাঁরা। তবে গুলির শব্দ শুনলেও শুরুতে কিছু বুঝতে পারেননি চন্দ্রশেখর। এমনকি একজন মহিলা পথচারী অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পরও ঠাওর করতে পারেননি পরিস্থিতির ভয়াবহতা। সেই সময়কার পরিস্থিতি তিনি পরবর্তীতে জানিয়েছেন সাংবাদিকদের। চন্দ্রশেখর বলেছেন,

'মসজিদটি থেকে আমরা মাত্র কয়েক মিটার দূরে অবস্থান করছিলাম এবং তখনই হঠাৎ গুলির শব্দ পাই। ক্রিকেটাররা কিংবা আমি কেউই বুঝতে পারিনি প্রথমে কি হচ্ছে। হঠাৎ আমরা দেখলাম একজন মহিলা রাস্তায় অজ্ঞান হয়ে পড়লেন। আমরা এটিকে মেডিক্যাল এমারজেন্সি ভেবেছিলাম এবং ছেলেদের কিছু অংশ বাস থেকে নেমে মহিলাটিকে সাহায্য করতে চাইছিলো। তবে এরপর আমরা বুঝতে পারলাম যে এটি আরও বড় কিছু ছিলো আমাদের চিন্তার থেকেও।'
কিছুক্ষণ পর মানুষজনকে দৌড়ে আসতে দেখে শেষ পর্যন্ত ঘটনাটি বুঝতে পারেন ভারতীয় এই অ্যানালিস্ট। শুধু তাই নয়, চারপাশে রক্তও দেখেছেন তিনি। নিজেদের জীবন বাঁচাতে পরবর্তীতে বাসের মেঝেতে শুয়ে পড়তে বাধ্য হন তাঁরা। চন্দ্রশেখরের বক্তব্য,
'আমরা দেখলাম মানুষজন তাঁদের জীবন বাঁচাতে দৌড়ে আসছে এবং চারিদিকে রক্ত। হঠাৎ করে আমাদের বলা হলো বাসের মেঝেতে চুপচাপ শুয়ে থাকার জন্য। আমি আসলে জানি না ঠিক কত মিনিট আমরা বাসের মেঝেতে শুয়ে ছিলাম। সকলে শান্তভাবে যা বলা হয়েছে তাই করেছিলো।'
সেই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ব্রেন কাজ করা যেন বন্ধ করে দিয়েছিলো চন্দ্রশেখরসহ বাকিদেরও। আর তাই হঠাৎ হতবিহবল হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। ভারতীয় এই অ্যানালিস্ট বলেছেন, 'আমরা প্রাথমিকভাবে তেমন প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারিনি। এই ধরণের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে আপনার ব্রেন আপনা থেকেই জমে যাবে যেহেতু আপনি আতঙ্কিত। সেটাই আমাদের সবার ক্ষেত্রে হয়েছে।'