গাজির ব্যাটিংয়ে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতলো মোহামেডান

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
সোহাগ গাজীর দুর্দান্ত এক ইনিংসে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে এক উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এদিন দোলেশ্বরের ছুঁড়ে দেয়া ২৪৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মোহামেডান।
মাত্র ৫১ বলে ৭০ রান করে দলকে অনেকটা একাই জয় এনে দিয়েছেন লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান গাজি। হাঁকিয়েছেন ৬টি ছয় এবং ৩টি চার। গাজি ছাড়াও ৩৮ রানের আরেকটি কার্যকরী ইনিংস এসেছে আলাউদ্দিন বাবুর ব্যাট থেকে। আর ইরফান শুক্কুর এবং নাদিফ চৌধুরী উভয়ই করেছেন ৩০ রান করে।
তবে মোহামেডানকে এই জয় পেতে যথেষ্ট ঘাম যে ঝড়াতে হয়েছে তা বলাই বাহুল্য। আর এর পেছনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন দোলেশ্বর অধিনায়ক ফরহাদ রেজা। ৫৫ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেছে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন তিনি। এছাড়াও ২টি করে উইকেট পেয়েছেন সৈকত আলি এবং সাদ নাসিম।

অবশ্য এরপরেও গাজির বীরত্বে পরাজয়ের কাতারে থেকেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে রেজাকে। কেননা দলীয় ১২৫ রানের মাথায় ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর আলাউদ্দিন বাবুকে সাথে নিয়ে জাতীয় দলের এই ক্রিকেটারই টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন দলকে। বাবুর সাথে গড়েছিলেন ৭৭ রানের দুর্দান্ত একটি জুটি।
এর আগে মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচটিতে টসে হেরে দোলেশ্বরকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মোহামেডান অধিনায়ক রকিবুল হাসান। তবে এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে সূচনাটা ভালো হয়নি দোলেশ্বরের।
দলীয় ১৩ রানে ওপেনার সৈকত আলিকে হারায় তারা। এরপর আবার ২৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে দোলেশ্বর। দলকে শক্ত ভিত দিতে চেয়েছিলেন ফরহাদ হোসেন (১৯) এবং জসিমউদ্দিন (২০)। ৩৬ রানের ছোট জুটি গড়ে ফিরে যান জসিমউদ্দিনও। তাঁর বিদায়ের পর ফেরেন ফরহাদ হোসেনও।
৬৫ রানে চার উইকেট হারিয়ে খাঁদের কিনারে ছিল দোলেশ্বর। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন মার্শাল আইয়ুব এবং তাইবুর রহমান। মোহামেডানের বোলারদের আর কোন উইকেট না দিয়ে শতরানের জুটি গড়েন দুইজনে। ৭৬ বলে ৩ চার এবং ২ ছয়ে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে মার্শাল আইয়ুব সাজঘরে ফিরলেও অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তাইবুর।
শেষের দিকের ব্যাটসম্যানদের সাথে গড়েন স্বল্প রানের জুটি। ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত মাঠে থেকে ৮৩ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলেন তাইবুর। যেখানে ছয়টি চার এবং একটি ছয়ের মার ছিল তাঁর। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে আট উইকেট হারিয়ে ২৪৮ রান সংগ্রহ করে দোলেশ্বর।
মোহামেডানের হয়ে অসাধারণ বোলিং করেছেন আলাউদ্দিন বাবু এবং শফিউল ইসলাম। তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন তাঁরা দুইজনে। একটি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন সোহাগ গাজী এবং সাকলাইন সজীব।