হাতের ইনজুরি, পেশির টান জয় করে সেঞ্চুরি!

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের প্রথম ম্যাচে বিকেএসপির বিপক্ষে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করে স্মরণীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন জহুরুল ইসলাম অমি। কবজির ইনজুরি ছিল আগে থেকেই। বিপিএলে চারটি ম্যাচ খেলেছেন ব্যথা নিয়েই।
এরপর ব্যাথার কারণে খেলতে পারেননি তিনি। ডিপিএল টি-টুয়েন্টিতেও আবাহনীর জার্সিতে দেখা যায় নি তাঁকে। কিন্তু ওয়ানডে লীগের শুরু থেকেই হাতে ব্যান্ডেজ নিয়ে মাঠে নেমেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, সেঞ্চুরির ঠিক আগে রান নিয়ে গিয়ে পায়ের পেশিতে টান পড়ে জহুরুলের। খুড়িয়ে খুড়িয়ে রান নিয়ে ৯৫ থেকে ৯৯ রানে পৌঁছাতে হয়েছে তাঁকে। সেখান থেকে স্কুপ করে বাউন্ডারি খুঁজে নিয়ে সেঞ্চুরি করেছেন জহুরুল।

মাঠ ছেড়েছেন ১৪৭ বলে অপরাজিত ১২১ রানের ম্যারাথন ইনিংস খেলে। সেই সেঞ্চুরিতে ভর করেই ২১৬ রানের মাঝারি পুঁজি দাঁড় করা আবাহনী। শেষ পর্যন্ত আবাহনী ম্যাচ জিতেছে ৬০ রানে।
'অবশ্যই আমার এখনও কিছু ঘাটতি আছে ব্যাটিংয়ে। ব্যাথাটা এখনও পুরোপুরি সারেনি। চেষ্টা করছি, ফিজিওরাও আমাকে অনেক সাহায্য করছে। আল্লাহর রহমতে দ্রুত সেরে যাবে। আমি মাত্র ১১ দিন আগে প্লিন্ট পড়ানো ছিল হাতে, সেটি খুলেছি। আল্লাহর রহমতে ভালোই রিকোভারি হচ্ছে। কঠিন ছিলো দেখে হয়তো একটু সহজ হয়েছে। আমার এই হাত নিয়ে শট খেলা সম্ভব ছিলো না। আর দলের অবস্থা সেটাই ডিমান্ড করে। সবমিলিয়ে আল্লাহর রহমতে ভালোই হয়েছে আরকি,' ম্যাচ শেষে বলেছেন জহুরুল।
'ক্র্যাম্প করেছিলো দুই পায়ের কাফ মাসলে। তবে আল্লাহর রহমতে খুব বড় কিছু হয়নি। আমি ফিল্ডিংয়েও নামিনি এই কারণে। ক্র্যাম্পটি খুব বড় দিকে যায়নি। আবহাওয়া বেশ ভালো ছিলো। তো খুব একটা ইফেক্ট করেনি জিনিসটা আল্লাহর রহমতে।'
বিকেএসপি-আবাহনীর ম্যাচের উইকেটও সহজ ছিল না। অনেকটাই সবুজাভাব উইকেট সমান গতিতে বল আসছিল না পুরো ম্যাচ জুড়েই। কঠিন অবস্থায় নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে খেলেছেন জহুরুল।
'উইকেটটি আসলে দুই পেসের ছিলো। মানে উইকেটটি আমি একেবারে ট্রু বলবো না। এই উইকেটে খুব ভালো খেললেও আমরা ২৫০ করতে পারতাম। উইকেটটি খুব বেশি ট্রু ছিলো না। এখানে পেসটি বেশ ভ্যারি করে। মাঝে মাঝে দ্রুত আসে বল, আবার মাঝে মাঝে বল থেমে যায়। এই কারণে সিলেক্টিভ শট খেলতে হয়। খুব বেশি শট খেললে আপনি এখানে আউট হয়ে যাবেন। জানি না দ্বিতীয় ইনিংসে কেমন ছিলো। তবে আমরা যখন ব্যাটিং করেছি তখন উইকেটটি ২৪০ এর ছিলো আমার কাছে মনে হয়েছে।'