জহুরুলের সেঞ্চুরিতে আবাহনীর শুভসূচনা

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
ফেভারিট দল আবাহনী বিকেএসপির বিপক্ষে ৬০ রানের বড় জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করল। তরুণ দল বিকেএসপিকে ২১৭ রানের ছোট লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েও ৬০ রানে নিজেদের প্রথম ম্যাচ জিতেছে আবাহনী। ম্যাচ সেরা হয়েছে লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি হাঁকানো আবাহনীর ওপেনার জহুরুল ইসলাম অমি।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে মিরপুরের সবুজাভাব উইকেটে শুরুতেই উপরের সারির চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসে আবাহনী। বিকেএসপির দুই পেসার সুমন খান ও আবু নাসের উইকেটের সাহায্য নিয়ে আবাহনীর ব্যাটসম্যানদের রান আটকে রাখতে সক্ষম হয়। দুইজনই ওপেনার কুশাল সিলভা ও তিন নম্বরে নামা নাজমুল হাসান শান্তকে সাজঘরে পাঠান।
স্পিনার হাসান মুরাদ স্পিনের ফাঁদে পা দেন সাব্বির। ২ রান যোগ করতেই সরাসরি বোল্ড হন তিনি। মোসাদ্দেক রান আউট হলে দলকে খাঁদের কিনার থেকে তুলে আনার দায়িত্ব বর্তায় ওপেনার জহুরুল ও সাইফউদ্দিনের কাঁধে। ৫৩ রানে চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা আবাহনীকে শতরানের জুটি উপহার দেয় এই জুটি।
সাইফ ৫৫ রান যোগ করে আউট হয়ে ফের আবাহনীর ব্যাটিং লাইনে ধস নামে। লোয়ার অর্ডারের কেউই জহুরুলকে সঙ্গ দিতে পারে নি। একা লড়াই করে ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি ও দলের স্কোর দুইশ ছাড়া করেন তিনি। হাতের ইনজুরি ও পায়ের পেশিতে টান উপেক্ষা করে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন জহুরুল।
বিকেএসপির পেসার আবু নাসের তিনটি ও স্পিনার হাসান মুরাদ দুটি উইকেট শিকার করেন।

মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই রুবেল হোসেন ও সাইফউদ্দিনের আগুনঝরা বোলিংয়ের সম্মুখীন হয় বিকেএসপি। ওপেনার রাতুল খান একা লড়াই করে গেলেও বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউই উইকেটে স্থায়ী হতে পারেনি।
টপ অর্ডারে রাতুলের ৩৭ ও লোয়ার অর্ডারে আব্দুল কাইয়ুমের ৩৮ রান বাদে কেউই বড় স্কোরের দেখা পাননি। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের ৪১তম ওভারে এসে ১৫৬ রানে অল আউট হয় বিকেএসপি।
আবাহনীর হয়ে দুই বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু তিনটি ও সানজামুল ইসলাম দুটি উইকেট শিকার করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আবাহনীঃ ২১৬/৯ রান (৫০ ওভার)।
জুহুরুল ১২১ (১৪৭ বল)*, সাইফউদ্দিন ৫৫ (৮০ বল)।
আবু নাসের ৩/৩৯, হারুন মুরাদ ২/৫৪।
বিকেএসপিঃ ১৫৬ অলআউট (৪০.৫ ওভার)
কাইয়ুম ৩৮ (৫৪ বল)*, রাতুল ৩৭ (৭৫)।
নাজমুল ইসলাম ৩/৩০, সানজামুল ইসলাম ২/৪০।