২০১৭ ফিরুক ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আগামী ৮ই মার্চ ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামছে সফরকারী বাংলাদেশ। আর এই ম্যাচে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশকে সাহস যোগাতে পারে সর্বশেষ সফরের পারফর্মেন্স।
কেননা ২০১৭ সালের সেই সফরে কিউইদের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৫৯৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করতে সক্ষম হয়েছিলো বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে সাকিব আল হাসান পেয়েছিলেন প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির দেখা।
অপরদিকে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম খেলেছিলেন ১৫৯ রানের দারুণ একটি ইনিংস। ফলে প্রথমবারের মতো কিউইদের মাটিতে টেস্টে বিশাল সংগ্রহের দেখা পায় বাংলাদেশ। টাইগারদের এই রানের জবাবে টম লাথামের সেঞ্চুরিতে ৫৩৯ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় নিউজিল্যান্ড।

তবে কিউইদের থেকে ৫৬ রানে এগিয়ে থাকার পরেও ম্যাচটিতে বড় পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে শুধুমাত্র দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে। দ্বিতীয় ইনিংসে কিউইদের তোপে মাত্র ১৬০ রানে অলআউট হয়েছিলো তারা।
ফলে ২১৭ রানের লক্ষ্য নির্ধারিত হয় নিউজিল্যান্ডের সামনে। আর এই লক্ষ্য ৭ উইকেট হাতে রেখেই সহজে পার করে স্বাগতিকরা। অবশ্য পরাজয়ের কাতারে থাকলেও দারুণ পারফর্মেন্স উপহার দেয়ার কল্যাণে সেই ম্যাচটি যথেষ্ট স্মরণীয় হয়ে আছে টাইগারদের কাছে।
সেই পারফর্মেন্সে পুনরাবৃত্তি এবারও করতে চাইবে তারা। যদিও এই টেস্টে সাকিব এবং মুশফিক দুইজনই ইনজুরির কারণে অনুপস্থিত থাকছেন। এরপরেও নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে মুখিয়ে থাকবে মাহমুদুল্লাহর দল।
তবে তিক্ত স্মৃতি আছে আগের দুই সফরে। বেসিন রিজার্ভের এই মাঠে সর্বপ্রথম ২০০১ সালে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছিলো বাংলাদেশের। সেই ম্যাচটিতে কিউইদের কাছে এক ইনিংস এবং ৭৪ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলো সফরকারীরা।
সেবার প্রথম ইনিংসে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ১৩২ রানে অলআউট হতে হয়েছিলো বাংলাদেশকে। জবাবে ৬ উইকেটে ৩৪১ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু পরবর্তীতে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে ১৩৫ রানে গুঁটিয়ে যায় খালেদ মাসুদ পাইলটের নেতৃত্বাধীন দলটি।
এরপরের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ২০০৮ সালে। সেই ম্যাচের অবস্থা অবশ্য আরও করুণ ছিলো বাংলাদেশের। স্বাগতিকদের কাছে ইনিংস এবং ১৩৭ রানের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলো টাইগাররা। মোহাম্মদ আশরাফুলের নেতৃত্বাধীন দলটি সেবার প্রথম ইনিংসে গুঁটিয়ে গিয়েছিলো মাত্র ১৪৩ রানে। আর জবাবে ৩৯৩ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় কিউইরা।
এরপর দ্বিতীয় ইনিংসেও যথারীতি ব্যাটিং ব্যর্থতার পরিচয় দেয় বাংলাদেশ। কিউইদের বোলিং তোপে মাত্র ১১৩ রানে অলআউট হয় তারা। ফলে বিশাল ব্যবধানে পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় সফরকারীদের।