শিরোপার খরা কাটলো শেখ জামালের
ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের বড় নাম শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ফুটবল ও ক্রিকেটে ঘরোয়া পর্যায়ে প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই বড় দলের তকমা গায়ে মেখে টুর্নামেন্ট গুলোতে অংশ নেয় ধানমন্ডির নতুন জায়ান্টরা। ফুটবলে নামের প্রতি সুবিচার করলেও ক্রিকেটে পারছিল না দলটি। অবশেষে ২০১৯ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ টি-টুয়েন্টির মধ্য দিয়ে ক্রিকেট শিরোপা শুন্যতা মেটালো শেখ জামাল।
প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে ফাইনালের লড়াইয়ে ২৪ রানের ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে নুরুল হাসানের সোহানের শেখ জামাল। ব্যক্তিগত ও দলীয় দিক থেকে ডিপিএল টি-টুয়েন্টির শিরোপা জয় করে তৃপ্ত সোহান। শেখ জামালের হয়ে গত ডিপিএলের রানার্স আপ হয়েছিলেন তিনি। বিপিএলে ঢাকা ডাইনামাইটসের হয়েও শিরোপা জিততে পারেননি। টানা তিনবার ফাইনাল হারর রেকর্ড থেকে রক্ষা পেতে শিরোপা জিততে হত সোহানকে। তৃপ্ত সোহান মিরপুরে শিরোপা জয়ের উল্লাস শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন,

'অবশ্যই ভালো। কারণ এই ধরনের টুর্নামেন্ট, শেখ জামাল অনেক দিন ধরেই ক্রিকেটের সাথে আছে। তো ক্রিকেটে এটা প্রথম চ্যাম্পিয়নশিপ। খেলা শুরুর হওয়ার আগে জানতে পারলাম যে এর আগে কোনো চ্যাম্পিয়নশিপ পায়নি। তো এটার জন্য আলাদা একটা আকাঙ্ক্ষা ছিল।'
ফাইনাল জিততে ভাগ্যও পক্ষে যেতে হয়। পুরো আসর জুড়ে ভাগ্যের ভেলায় চড়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয়া দোলেশ্বরের ওপেনার মোহাম্মদ আরাফাত ভালো খেলতে থাকা অবস্থায় ইনজুরির শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন। ২৩ বলে ৩৩ রান করেন সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকে। ভালো সূচনার পর আরাফাতকে হারিয়ে খেই হারায় দোলেশ্বর, সেই সুযোগ দুই হাতে লুফে নেয় শেখ জামাল। রান আটকে দ্রুত মিডেল অর্ডার ধস নামায় আফ্রিদি-শহিদুলরা। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দোলেশ্বর। সোহানের ভাষায়,
'আসলে এটা খেলার অংশ। একটা মুমেন্টাম দরকার ছিল, টি-টুয়েন্টিতে যা বেশিই ইম্পরট্যান্ট। আমরা যেমন ভালো শুরু করেছি, মিডেল ওভারে আবার হারিয়ে ফেলেছি। তো ওদেরও ভালো শুরু হয়েছিল। ওখান থেকে আবার মুমেন্টামটা লস করেছে, যার কারণে ম্যাচে ফিরেছি।'
ফাইনালের ম্যাচ সেরা ইমতিয়াজ হোসেন তান্নার ফিফটি শেখ জামালকে লড়াই করার মতন পুঁজি গড়ার ভিত গড়ে দেয়। মিডেল ওভারে দ্রুত উইকেট হারালেও সোহান ও তানবিরের গড়া ৪৯ রানের জুটি শেখ জামালকে ২০ ওভারে ১৫৭ রান তুলতে সাহায্য করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী স্কোর গড়তে পেরে ম্যাচ জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিল সোহানরা।
'তান্না ভালো শুরু করেছিল। টি-টুয়েন্টিতে শুরুটা খুব ইম্পরট্যান্ট। আমরা মাঝে খুব বেশি উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলাম। তো আমি আর তানবির যখন ব্যাট করছিলাম, টার্গেট ছিল শেষ পর্যন্ত খেলা নেয়া, আমরা যেন ১৬০ রানে পৌছাতে পারি। শেষ পর্যন্ত আমরা ১৫৭ রান করেছি। যার কারণে আমরা সবাই কনফিডেন্ট ছিলাম ফিল্ডিংয়ের সময়।'