প্রথম ডিপিএল টি-টুয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
ডিপিএল টি-টুয়েন্টির প্রথম শিরোপাটি দাপটের সাথে নিজেদের করে নিয়েছে ধানমন্ডি জায়ান্ট শেখ জামাল। মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে প্রাইম দোলেশ্বরকে ২৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল।
ডিপিএল টি-টুয়েন্টির ফাইনালে ১৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সঠিক পথেই ছিল প্রাইম দোলেশ্বর। দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও মোহাম্মদ আরাফাত ৬২ রানের জুটি গড়েছিল। আরাফাত আগ্রাসী ব্যাটিং করে রান রেটের দাবি মেটানোর চেষ্টা করেন।
প্রান্ত বদল করে খেলে জুটি দীর্ঘ করছিলেন সাইফ। তবে ইনিংসের অষ্টম ওভারে এসে পায়ের পেশিতে টান পড়ায় মাঠ ছাড়তে হয় আরাফাতকে। ২৩ বলে ৩৩ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হন তিনি।
বেশীক্ষণ স্থায়ী হয়নি সাইফের ইনিংস। পরের ওভারেই ২৮ বলে ২৬ রান করে সাকিলের বলে আউট হন তিনি। দুই ওপেনারকে হারিয়ে খেই হারিয়ে বসে দোলেশ্বর। একে একে মার্শাল, ফারহাদ ও মাহমুদুলকে সাজঘরে পাঠায় শেখ জামালের স্পিনাররা।
মিডেল ওভারে রান আটকে চাপ সৃষ্টি করেন তরুণ লেগ স্পিনার মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদি। চার ওভারের স্পেলে মাত্র ১০ রান খরচায় এক উইকেট নেন তিনি। ম্যাচে টিকে থাকতে হলে কাপ্তান ফরহাদ রেজাকে ব্যাট হাতে বিশেষ কিছু করতে হত।
কিন্তু বাড়ন্ত রানরেটের সাথে পাল্লা দিতে ব্যর্থ হন তিনি। তাঁর ২০ বলে ৪৫ রানের ইনিংসটি শুধু পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে। পেসার শহিদুলের নিয়ন্ত্রিত বোলিং শেষের দিকে ১৩৩ রানে থামে শেখ জামালে ইনিংস। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে চার উইকেট শিকার করে শেখ জামালকে ২৪ রানের বড় জয় নিশ্চিত করেন শহিদুল।

এর আগে শুরুতে ব্যাট করা শেখ জামালকে দারুণ সূচনা এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন ও ফারদিন হোসেন। প্রথম উইকেট জুটিতে ৬২ রান যোগ করে বিচ্ছিন্ন হন তাঁরা। মানিক খানের বলে ১৮ রান করে আউট হন ফারদিন।
এরপর মিডেল ওভারে শেখ জামালকে বড় জুটি গড়তে দেয় নি প্রাইম দোলেশ্বর। হাসানুজ্জামান ও নাসির হোসেনকে দ্রুত সাজঘরে ফিরে যেতে হয় ইনিংসের ১১তম ওভারের মধ্যেই। তবে শেখ জামালের রানের চাকা সচল রেখেছিলেন ইমতিয়াজ।
দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলের অর্ধশত তুলে নেন তিনি। ১৪তম ওভারে এসে বড় ধাক্কা খায় শেখ জামাল। ১৪তম ওভারে এসে আলগা শট খেলে এনামুল জুনিয়রের বলে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন তিনি। ৪৪ বলে ৫৬ রান করেন তিনি।
পরের ওভারেই সেমিফাইনাল জয়ের নায়ক জিয়াউর রহমান আউট হন। ফরহাদ রেজার শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকে। ১০৪ রানে উপরের সারির পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ধুঁকছিল শেখ জামাল।
সেখান থেকে শেখ জামালের ভাগ্য বদল করেন কাপ্তান নুরুল হাসান সোহান ও তানবির হায়দার। শেষের দিকে এসে ৪৯ রান যোগ করে এই জুটি। সোহান ২৭ বলে ৩৩ রান করে রানের চাকা সচল রাখলেও দ্রুত রান নিয়েছেন তানবির, ১৫ বলে ৩১ রানের সময় উপযোগী ইনিংস খেলেছেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটের স্কোরবোর্ডে ১৫৭ রান লড়াই করার মতন পুঁজি জমা করে শেখ জামাল। বল হাতে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে তিন উইকেট নিয়েছেন প্রাইম দোলেশ্বরের কাপ্তান ফরহাদ রেজা।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবঃ ১৫৭/৭ (২০ ওভার)
(ইমতিয়াজ ৫৬ সোহান ৩৩, তানবির ৩১; এনামুল ১/৩০, ফরহাদ রেজা ৩/৩২)
প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবঃ ১৩৩/৮ (২০ ওভার)
(রেজা ৪৫, আরাফাত ৩৩, সাইফ ২৬; আফ্রিদি ১/১০, শহিদুল ৪/১৯, শাকিল ২/৪১)