রিয়াদের চতুর্থ সেঞ্চুরি
ছবি: ছবি- বিসিবি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশঃ ৩৭৮/৫ (৮৯ ওভার) (দ্বিতীয় ইনিংস) (মাহমুদুল্লাহ-১০৫*, লিটন-১*; বোল্ট- ৩/৯৫, ওয়েগনার- ১/৮৬)
নিউজিল্যান্ডঃ ৭১৫/৬ (১৬৩ ওভার) (প্রথম ইনিংস) (উইলিয়ামসন- ২০০*, লাথাম- ১৬১; মিরাজ- ২/১৯০, সৌম্য- ২/৩১)
বাংলাদেশঃ ২৭৪/১০ (৬০ ওভার) (প্রথম ইনিংস) (তামিম- ১২৬; ওয়েগনার- ৫/৪৭, সাউদি- ৩/৭৬)
স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিল্টন টেস্টে ইনিংস পরাজয় এড়াতে আজ চতুর্থ দিন ব্যাট করছে সফরকারী বাংলাদেশ। আগের দিন ৩৯ এবং ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন দুই টাইগার ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
মাহমুদুল্লাহর চতুর্থ সেঞ্চুরিঃ
টিম সাউদির ৮৮তম ওভারের তৃতীয় বলটি লং লেগের ওপর দিয়ে সীমানা ছাড়া করেন টাইগার দলপতি মাহমুদুল্লাহ। আর এর মাধ্যমে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। হ্যামিল্টনের এই মাঠেই কিউইদের বিপক্ষে নিজের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন রিয়াদ। রিয়াদের সেঞ্চুরির সুবাদে বাংলাদেশে বর্তমান স্কোর দাঁড়িয়েছে ৫ উইকেটে ৩৭৮ রান।
জুটি ভাঙ্গলেন বোল্টঃ
৮৫ তম ওভারের পঞ্চম বলে দারুণ খেলতে থাকা সৌম্য সরকারকে সরাসরি বোল্ড করে কিউইদের পক্ষে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। এর ফলে মাহমুদুল্লাহর সাথে তাঁর ২৩৫ রানের জুটির পরিসমাপ্তি ঘটে। আর ১৪৯ রান নিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে। সৌম্যর পর রিয়াদের সাথে ক্রিজে যোগ দেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস।
সৌম্য, রিয়াদের দুইশ রানের জুটিঃ
লাঞ্চ বিরতির পর খেলতে নেমে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন সৌম্য সরকার এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দারুণ ব্যাটিং করে ২০০ রানের জুটি গড়েন তাঁরা।

অবিচ্ছিন্ন থেকে লাঞ্চে বাংলাদেশঃ
সৌম্য সরকার এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে আজ কোনও উইকেট না হারিয়েই লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিলো বাংলাদেশ। লাঞ্চের আগে এই দুই ব্যাটসম্যান জুটি গড়েন ১৮৪ রানের। বিরতির পর সৌম্য ১২৩ এবং রিয়াদ ৬৫ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমেছিলেন।
তিনশ রানের কোটায় বাংলদেশঃ
সৌম্য এবং রিয়াদের ব্যাটের এরই মধ্যে তিনশ রানের কোটায় পৌঁছে গিয়েছে বাংলাদেশ। দারুণ ব্যাটিং করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন এই দুই ব্যাটসম্যান।
দ্রুততম সেঞ্চুরিতে সৌম্যঃ
ব্যাট হাতে রীতিমত ওয়ানডে মেজাজে খেলছেন সৌম্য সরকার। মাত্র ৯৪ বলে এরই মধ্যে নিজের অভিষেক টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। কিউই স্পিনার টড অ্যাস্টেলের ৫৮তম ওভারের চতুর্থ বলটি ডাউন দ্যা উইকেটে এসে উড়িয়ে মাঠের বাইরে ফেলেন সৌম্য। এর মাধ্যমে ৯০ এর ঘরে পৌঁছে গিয়েছিলেন এই বাঁহাতি।
এর পরে টিম সাউদির ওভারটিতেও যথারীতি আগ্রাসী ছিলেন সৌম্য। সাউদির করা ওভারের প্রথম বলে মিড অফ অঞ্চল দিয়ে ৪ হাঁকিয়ে ৯৯ রানে পৌঁছে যান তিনি। এরপর ষষ্ঠ বলটি পুল করে সীমানা ছাড়া করার মাধ্যমে সেঞ্চুরি তুলে নেন সৌম্য।
এরই সাথে দেশের বাইরে দ্রুততম সেঞ্চুরি হাঁকানো বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের কাতারে উঠে এসেছেন তিনি। সৌম্যর সমান বল খেলে এর আগে সেঞ্চুরি হাঁকানোর কীর্তি রয়েছে ওপেনার তামিম ইকবালের। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডর বিপক্ষে লর্ডসে এই ইনিংস খেলেন তিনি।
এদিকে সৌম্যর পাশাপাশি আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও দারুণ খেলছেন। টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৬তম হাফসেঞ্চুরি এরই মধ্যে তুলে নিয়েছেন তিনি।
আগ্রাসী ভঙ্গীতে খেলছেন সৌম্যঃ
ট্রেন্ট বোল্টের ৫২তম ওভারের প্রথম বলেই ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে হাঁকান দারুণ একটি ছয় হাঁকান সৌম্য সরকার। এর ঠিক এক বল পরেই মিড অন অঞ্চল দিয়ে চার হাঁকান তিনি। হাফসেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর বেশ আগ্রাসী ভঙ্গীতেই খেলছেন এই বাঁহাতি।
দুইশর ঘরে বাংলাদেশঃ
দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান সৌম্য এবং রিয়াদের ব্যাটে দুইশ রানের কোটা পার করে সফরকারী বাংলাদেশ। দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
সৌম্যর হাফসেঞ্চুরিঃ
আজ শুরু থেকেই দারুণ ব্যাটিং করছেন সৌম্য সরকার। ট্রেন্ট বোল্টের ৪৬ তম ওভারে তৃতীয় বলে চার মেরেছিলেন তিনি। এরপর একই ওভারের শেষ বলে বিশাল একটি ছয় হাঁকিয়ে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
উল্লেখ্য বাংলাদেশের বিপক্ষে গতকাল ৭১৫ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিলো নিউজিল্যান্ড। বিশাল এই পুঁজির পেছনে মূল কৃতিত্ব ছিল অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের। কেননা অপরাজিত ২০০ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেছেন তিনি।
তবে উইলিয়ামসন ছাড়াও ১৬১ এবং ১৩২ রানের ইনিংস এসেছে টম লাথাম ও জিত রাভালের ব্যাট থেকে। কিউইদের এই রানের জবাবে খেলতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছিলো টাইগাররা।
এর আগে ম্যাচটির শুরুতে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে কিউই বোলারদের তোপে মাত্র ২৩৪ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিলো বাংলাদেশ । দলের পক্ষে শুধু তামিম ইকবাল ছাড়া আর কেউই ভালো খেলতে পারেননি। তামিম ১২৬ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেছিলেন। বাংলাদেশ শিবিরে ধ্বস নামানোর মূলে ছিলেন কিউই পেসার ওয়েগনার। মাত্র ৮৭ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। অপরদিকে ৭৬ রানে ৩ উইকেট নেন টিম সাউদি।
বাংলাদেশ একাদশঃ
তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ মিঠুন, সৌম্য সরকার, মুমিনুল হক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস (উইকেটরক্ষক), মেহেদী হাসান মিরাজ, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, আবু জায়েদ রাহী ও সাদমান ইসলাম, এবাদত হোসেন।
নিউজিল্যান্ড একাদশঃ
কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), টম লাথাম, জিত রাভাল, রস টেলর, হেনরি নিকোলস, বিজে ওয়াটলিং (উইকেটকিপার), কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, টড অ্যাস্টল, টিম সাউদি, নেইল ওয়েগনার, ট্রেন্ট বোল্ট