promotional_ad

তিন ক্রিকেটারকে ঠকাচ্ছে মোহামেডান

ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি
promotional_ad

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||


মোহাম্মদ আজিম, ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের গত আসরে মোহামেডানের জার্সিতে খেলে সফল মৌসুম কাটিয়েছেন। ছয় ম্যাচ খেলে ১৮ উইকেট নিয়েছিলেন এই পেস বোলার। গতবারের পারফর্মেন্সের কারণেই ১৮ ফেব্রুয়ারি ডিপিএল ড্রাফট থেকে আজিমকে দলে ভেড়ায় মোহামেডান। কিন্তু দুই সপ্তাহর ব্যবধানে মোহাম্মদ আজিমকে দলচ্যুত করে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। তাঁর বদলী হিসেবে আরেক অভিজ্ঞ পেসার শাহাদাত হোসেন রাজিবকে দলে নিয়েছে মোহামেডান। 


শুধু আজিম নয়, আরও দুই ক্রিকেটার রাহাতুল ফেরদাউস ও মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকে ড্রাফট থেকে নিয়ে বাদ দিয়েছে মোহামেডান। ডিপিএল নিয়ম অনুযায়ী ড্রাফটের পর কোনো ক্রিকেটারকে দল থেকে বাদ দিতে পারবে না কোনো ক্লাব। অন্য দলের সাথে চুক্তি করে দল বদল করতে পারবে। কিন্তু নিয়ম ভেঙ্গে দলচ্যুত করার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে ঢাকার ক্রিকেটের ঐতিহ্যবাহী দল মোহামেডান।


মিরপুরের একাডেমী মাঠে অসহায় মোহাম্মদ আজিম মিডিয়াকে বলেছেন, 'গতকাল রাতে ওয়াসিম ভাই ফোন দিয়ে বলে, মাহবুব ভাই বলেছে, তুমি একটু অন্য টিম দেখ। আমি বলেছি, আমি এখন অন্য টিম কিভাবে দেখব। এমন তো না যে আমি রিকয়েস্টেড প্লেয়ার। আপনারা আমাকে না ডাকলে আমাকে অন্য দল ডাকতে পারত। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, আমি প্র্যাকটিসে আসব কিনা, উনারা বলে, তোমার প্র্যাকটিসে আসার দরকার নাই। 



promotional_ad

'আমাকে ড্রাফট থেকে নেয়ার পর যদি বলে টিম দেখতে, এটা কেমন কথা। পেসার নাকি বেশি, এই জন্য বাদ দিতে চাচ্ছে। আর আমি তো আগে পরে তো খেলে এসেছি। আমি এখন এসে দেখলাম পেস বোলার সেই বেশিই রইল। তাহলে এখানে আমার দোষটা কই। এখন আমি হুট করে নতুন টিম কোথায় পাব। আর আমি তো গত বছর পারফর্ম করা প্লেয়ার। আমার বদলে আজ দেখলাম রাজিব ভাই এসেছে। উনাকে ড্রাফট থেকে ডেকে নেয়নি মোহামেডান।'


মোহামেডান ক্লাবের ম্যানেজার ওয়াসিম খানকে ডিপিএল বাইলজ মনে করিয়ে দিয়েছেন খোদ আজিম। মিডিয়ায় ভয় দেখালে উল্টো হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ আজিমের।


'আমি বলেছিলাম আপনি আমাকে ড্রাফট থেকে নিয়েছেন তারপর বাদ দিচ্ছেন। এটা তো নিয়মে নেই। আমি তাহলে মিডিয়ায় যাব। পরে বলেছে, তুমি মিডিয়ায় গিয়ে লাভ হবে না, তুমি তো খেলতে পারবা না। আমি বললাম খেলা তো বড় কথা না। এটা আমাদের রুটি রুজির ব্যাপার। হুট করে আমাকে বাদ দিচ্ছেন। আপনি আমাকে টাকা দিয়ে দেন তা না হলে অন্য ক্লাবে ট্রান্সফার করে দেন।'


কোনো সমাধান না হলে বিসিবির দুয়ারে যেতে প্রস্তুত এই পেসার। 'এখন বিসিবি আমাদের অভিভাবক। তাদের তো অবশ্যই জানাতে হবে। নিয়ম তো সবার জন্য সমান। যদি আমার কোনো ব্যবস্থা না করে দেয় তাহলে তো যেতেই হবে। গতবার আমি ছয় ম্যাচ খেলে ১৮ উইকেট পেয়েছি। আমি স্ট্রাইক রেট, অ্যাভারেজে এক নম্বর বোলার। এখন তারপরও যদি এমন হয় আমার সাথে, তাহলে আর কি বলব।'



পুরো ঘটনাকে অবশ্য ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখছেন ক্লাবের ম্যানেজার ওয়াসিম খান। ফোনালাপে আজিম ও বাকি দুই ক্রিকেটারকে বাদ দেয়ার অভিযোগ সম্পর্কে ওয়াসিম খান বলছেন ভিন্ন কথা। 'তাদের বলেছি অন্য ক্লাব দেখতে, আমরাও দেখছি। অন্য ক্লাব যদি কম টাকায় নেয় তাহলে বাকি টাকা আমরা দিয়ে দিব। আর কোনো দল না নিলে তো আমাদের তাদের রাখতেই হবে।'



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball