চরম অব্যবস্থাপনার শিকার মেয়েদের ক্রিকেট

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
চরম অব্যবস্থাপনার শিকার হচ্ছে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা। সময় মতো ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ বা জাতীয় ক্রিকেট লীগ, কিছুতেই অংশ নিতে পারছে না। এমনকি সম্প্রতি সাদা পোশাকের অনুশীলনে ম্যাচগুলোতে নিজেদের খাবার নিজেদেরই কিনতে হচ্ছে তাঁদের।
উল্লেখ্য, টেস্ট স্ট্যাটাসের কথা মাথায় রেখে প্রথমবারের মত সাদা পোষাকে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশের নারী দলের ক্রিকেটাররা। সেখানেই এমন দুরাবস্থার শিকার হতে হয় তাঁদের। বাংলাদেশের টি-টুয়েন্টি দলের অধিনায়ক সালমা খাতুন ক্রিকফ্রেঞ্জিকে জানান,
'বিসিবি আমাদের মাঠ দিচ্ছে, স্ট্যাম্প দিচ্ছে আর বল দিচ্ছে। ম্যাচ আমরাই আয়োজন করছি আমাদের মতো করে। এমনকি দুপুরের খাওয়াও আমরা কিনে খাচ্ছি। এটা খুব মজার, আদৌ এটা কোন বিষয় নয় যে আমরা আমাদের খাবার কিনে খাচ্ছি।'

মেয়েদের ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ শুরু হওয়ার কথা ছিল জানুয়ারির ১৫ তারিখে। কিন্তু তখন বিপিএল চলায় মাঠ না থাকায় খেলা হয়নি তাঁদের। এখন শোনা যাচ্ছে মার্চে হবে মেয়েদের ডিপিএল। সালমা জানান,
'বিশ্বকাপ থেকে ফেরার পর আমাদের জানানো হয়েছিল, প্রিমিয়ার লীগ শুরু হবে জানুয়ারির ১৫ তারিখে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেটা সময় মতো হয়নি। আমাদের এরপরে বলা হয়েছিল মাঠের সল্পতার কারণে আসরটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমাদের জন্য একটা হতাশার কেননা আমরা সারা বছর অনুশীলন করি প্রিমিয়ার লীগে খেলার জন্য।'
এখানেই শেষ নয়। ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখে শুরু হওয়ার কথা ছিল মেয়েদের জাতীয় ক্রিকেট লীগের। কিন্তু মেয়েরা যখন কক্সবাজারে খেলতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তখনই তাঁদের দুঃসংবাদ দেয় বিসিবি।
'আমাদের বলা হয়েছিল ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখে জাতীয় ক্রিকেট লীগ শুরু হবে। সেটাও হয়নি। আমাদের ৯ তারিখে কক্সবাজার যাওয়ার কথা ছিল, আগের রাতে আমাদের জানানো হয় যে ফেব্রুয়ারির ২৪ বা ২৫ তারিখে জাতীয় ক্রিকেট লীগ হবে, সেটাও পেছানো হয়েছে।'
এসব আসরে খেলার সুযোগ না মেলায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মেয়েরা জানিয়েছেন সালমা। সময়মত আসরগুলো না হওয়ায় দুঃখপ্রকাশ করে তিনি জানান,
'এটা আমাদের জন্য বড় ধাক্কা, কেননা আমাদের অনেকেই এটার উপরে নির্ভর করে জীবিকা অর্জন করি। এই ধরণের অনিশ্চয়তায় পড়লে সেটা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। এছাড়া এসব আসরে কেউ ভালো পারফর্ম করে জাতীয় দলের নির্বাচকদের নজরে আসতে পারে।
'এভাবে তাঁরা জাতীয় দলেও ঢুকতে পারে। সবাই তো আসলে বিসিবির চুক্তিতে নেই। তাই এসব আসরের মাধ্যমে তাঁরা আর্থিকভাবে অনেক বেশি নির্ভর করে। এছাড়া জাতীয় দলেও জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ থাকে তাঁদের।'
উল্লেখ্য, গত বছরে এশিয়া কাপ জয় ছাড়াও বেশ চমক জাগানো কিছু পারফর্মেন্স ছিল প্রমীলা ক্রিকেটারদের। এরপরে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে বাজে ফলাফল করেছিল তাঁরা। এরপরে চলতি বছরের শুরুর থেকেই মাঠের প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট থেকে দূরে আছে তাঁরা।