'প্রতি বলে বাউন্ডারি হাঁকানোর চেষ্টা থাকে'

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
এবারের বিপিএলে দারুণ সময় কেটেছে ইয়াসির আলির। চিটাগং ভাইকিংসের টপ অর্ডারে অভিজ্ঞ মোহাম্মদ আশরাফুলের জায়গায় সুযোগ পেয়ে নিয়মিত রান করেছেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান।
ইমার্জিং কাপ ও প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের ফর্ম ধরে রেখে বিপিএলে ১১ ম্যাচে ৩০৭ রান করেছেন তিনি। আছেন বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায়। আসর জুড়ে উইকেটের চার পাশে বড় শট খেলার দক্ষতার প্রমাণ রেখেছেন তিনি।
বড় মঞ্চের চাপ সামলে তারকা ক্রিকেটারদের সাথে পাল্লা দিয়ে রান করেছেন। পেস ও স্পিনে সমান সাবলীল ইয়াসিরের টি-টুয়েন্টি সাফল্যের জন্য বদলে যাওয়া মানসিকতাকে মূল কারণ মনে করেন। প্রতি বলে বড় শট খেলার চেষ্টা ছোট ফরম্যাটের ক্রিকেট সফল হওয়ার মূলমন্ত্র।

'আমাদের কোচ, এইচপি ও এখানে ভাইকিংসের কোচ সাইমন হেলমট বলেছিল, ব্যাটিংয়ে রান করার অভিপ্রায় বজায় রাখতে। প্রতি বলেই বাউন্ডারি হাঁকানোর মানসিকতা বজায় রাখতে, তাহলে কোনো বল ডট যাবে না, ছয় চারের উদ্দেশ্যে খেললে এক রান তো হবেই। সেটাই করার চেষ্টা করেছি,' ক্রিকফ্রেঞ্জিকে বলেছেন ইয়াসির।
দীর্ঘদেহী ইয়াসির অবশ্য বয়স ভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই বড় শট খেলার জন্য বেশ পরিচিত ছিলেন। বাংলাদেশের হয়ে ২০১৪ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলা ইয়াসির সময়ের সাথে সাথে নিজেকে পরিপূর্ণ ব্যাটসম্যান হিসেবে গড়ে তুলেছেন। বিপিএলে বেশ কয়েকটি ম্যাচে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের সাথে জুটি গড়ে দারুণ ব্যাটিং করেছেন। ফিল্ডিংয়ের ফাঁকফোকর খুঁজে নিয়ে প্রান্ত বদল করে খেলার সামর্থ্যের প্রমাণ রেখেছেন তিনি। তবে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে ইনিংস গুলো আরেকটু বড় করতে না পারায় আক্ষেপ কাজ রয়ে গেছে ইয়াসিরের।
ইয়াসিরের বক্তব্য, 'আমি ছোট বেলা থেকেই বিগ হিটিংয়ের জন্য পরিচিত ছিলাম। মুশফিক ভাই অনেক বড় ব্যাটসম্যান। তাঁর সাথে ব্যাটিংয়ের সময় অনেক কিছু শিখেছি। আমি ইনিংস গুলো আরও বড় করতে পারতাম। বেশ কিছু ইনিংসে আমি ৮০-৫০ রানে আউট হয়েছি।'
বাংলাদেশ 'এ' দলের অন্যতম সদস্য ইয়াসির সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে দারুণ ফর্মে থাকা অবস্থায় ক্যারিয়ারের চার মাস হারিয়েছেন। সেই সময়ের তুলনায় বর্তমান অবস্থায় নিজেকে বিচার করতে গিয়ে তিনি বলেছেন,
'ওই সময়টা আমি চিন্তাও করি নি কি করছি, কি করব। আমি শুধু চিন্তা করেছি কবে মাঠে ফিরতে পারব। এখন যেই জায়গায় আছি সেটা তো চিন্তাও করি নি। আলহামদুলিল্লাহ।'
ব্যক্তি ও ক্রিকেটার হিসেবে পরিনত মস্তিস্কের অধিকারী ইয়াসির বিপিএল সুখস্মৃতি আগলে রাখতে চান না, ভবিষ্যতের অচেনা জগত জয় করার লক্ষ্য ইয়াসির আলির।