তামিমের কারণেই শামসুরকে নিয়েছিলো কুমিল্লা

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
কনুইয়ের ইনজুরির কারণে বিপিএল থেকে স্টিভ স্মিথ ছিটকে পড়ায় বেশ বড় একটি শূন্যস্থান তৈরি হয়েছিলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স শিবিরে। সেরা দল গঠন করা নিয়েও ঝামেলায় পড়েছিলো তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সবকিছু সামলে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয় দলটি।
এর পেছনে অবশ্য বেশ বড় ভূমিকা রেখেছিলেন দলটির ওপেনার তামিম ইকবাল। কেননা তাঁর পরামর্শেই ৩০ বছর বয়সী শামসুর রহমানকে দলে অন্তর্ভুক্ত করেছিলো ভিক্টোরিয়ান্স শিবির। আর সেই শামসুরই রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে প্রথম কোয়ালিফায়ারে ১৫ বলে অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ জিতিয়ে ফিরেছিলেন কুমিল্লাকে।

দলের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন তাই সকল কৃতিত্ব দিয়েছেন তামিমকে। ক্রিকবাজের সাথে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন ড্রাফট তালিকা থেকে দলে নেয়া শামসুর তাঁদের পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন তামিমের পরামর্শে। অভিজ্ঞ এই কোচ বলেছেন,
'স্মিথের চলে যাওয়ার পর একটি বিশাল শুন্যস্থান তৈরি হয়েছিলো এবং তামিম ইকবালকে এর জন্য কৃতিত্ব দিতে হবে কেননা সে শামসুর রহমানের নাম আমাদের কাছে উত্থাপন করেছিলো। সে শুরুতে পরিকল্পনায় না থাকলেও তাঁকে ড্রাফট থেকে নেয়া হয়েছিলো।'
তামিমের পরামর্শে শামসুরকে দলে নিয়ে যথেষ্ট সুফল পেয়েছে কুমিল্লা। ১০ ম্যাচে ১৩৫ এর উপরে স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছিলেন ৩০ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। তিন, চার কিংবা পাঁচ নম্বরেও ব্যাটিং করতে পারদর্শী এই ক্রিকেটারকে নিয়ে সালাউদ্দিন তাই যথেষ্ট সন্তুষ্ট ছিলেন। ক্রিকবাজকে তিনি বলেছেন,
'তামিম না বললে আমরা তাঁকে বাছাই করতাম না, কারণ কেউই তাঁকে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি বিপিএলে। সে আমাদের প্রত্যাশার থেকেও ভালো করেছে এবং এটি আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করেছে। আমাদের অপশন ছিলো তাঁকে তিন, চার কিংবা পাঁচ নম্বরে খেলানোর। এমনকি সে ছয় নম্বরে খেলতেও প্রস্তুত ছিলো।'
কুমিল্লা কোচ আরও যোগ করেন, 'সে (শামসুর) এমন কিছু ইনিংস খেলেছে যা কিনা দলের মোমেন্টাম একেবারেই পাল্টে দিয়েছিলো এবং তাঁর স্ট্রাইক রেটও অনেক বেশি। আমরা ভাবতে পারিনি যে একজন স্থানীয় ক্রিকেটার এভাবে খেলতে পারবে এবং এটি আমাদের দলের সামঞ্জস্যতা ঠিক রাখতে অনেক সাহায্য করেছে।'