গাপটিলের সেঞ্চুরিতে সহজ জয় নিউজিল্যান্ডের

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
নেপিয়ারে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। এই ম্যাচে দারুণ এক অপরাজিত সেঞ্চুরির ইনিংস খেলে দলকে বড় জয় উপহার দিয়েছেন মার্টিন গাপটিল।
বাংলাদেশের দেয়া ২৩৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ওপেনিংয়ে ১০৩ রান যোগ করেন গাপটিল ও হ্যানরি নিকোলস। ৫৩ রান করা হ্যানরিকে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন টাইগার স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ।
এরপর দ্রুতই উইলিয়ামসনকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ১১ রান। তৃতীয় উইকেটে আরেকটি বড় জুটি গড়েন গাপটিল ও টেইলর। অভিজ্ঞ টেইলরকে সঙ্গে নিয়ে ১০৩ বলে দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নেন গাপটিল।
ওয়ানডেতে এটি তাঁর ১৫তম শতক। গাপটিল শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১১৭ রান করে। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪টি ছয় ও ৮টি চারে। টেইলরের ব্যাট থেকে এসেছে অপরাজিত ৪৫ রানের ইনিংস।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের টপ অর্ডার। এরপর মিডেল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিথুনের ফিফটির উপর ভর করে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে ২৩৩ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ দল।
মিথুন ছাড়া লোয়ার মিডেল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন করেন ৪১ রান। তাঁদের দুজনের ব্যাটে ভর করে ৪৮.৫ ওভারে ২৩২ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। দিনের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয় নি বাংলাদেশের।

সদ্য সমাপ্ত বিপিএলের ফাইনালে ১৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলা তামিম ইকবাল মাত্র ৫ রানে সাজঘরে ফিরে যান। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ট্রেন্ট বোল্টের দুর্দান্ত এক ডিলেভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বসেন এই ওপেনার।
খানিক পর ১ রানে ক্রিজে ব্যাট করা অবস্থায় ম্যাট হেনরির ভেতরে আসা বলে বোল্ড হন আরেক ওপেনার লিটন দাস। শুরুতে দুই ওপেনারকে হারালেও মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ খেলছিলেন সৌম্য সরকার।
নিউজিল্যান্ডের বোলারদের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক মনোভাবে খেলে দ্রুত রান তোলার কাজটা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু দলীয় ৪২ রানে ট্রেন্ট বোল্টের ইনসুইং বলে ৫ রানে বোল্ড হন মুশফিক। এরপরের ওভারে ম্যাট হেনরিকে পুল করতে গিয়ে উইকেট ছুঁড়ে দেন সৌম্য।
২২ বলে ৩০ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৪২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসা বাংলাদেশের হাল ধরার চেষ্টায় ব্যাট করছিলেন রিয়াদ এবং মিথুন। দুজন মিলে জুটিতে যোগ করেছিলেন ২৯ রান। কিন্তু দলীয় ৭১ রানের সময় লকি ফারগুসনের বলে বিদায় নেন রিয়াদ।
খানিক পর সাব্বির রহমানকে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন মিচেল স্যান্টনার। ২০ বলে ১৩ রান করেন এই ব্যাটসম্যান। ৯৪ রানে ৬ উইকেট হারালেও মিথুন এবং মিরাজ মিলে দলের হাল ধরেন। তবে মিচেল স্যান্টনারের অফ সাইডের বলকে লেগ সাইডে সুইপ করতে গিয়ে ২৬ রানে উইকেট ছুঁড়ে দেন মিরাজ।
৭ উইকেট হারিয়ে দলের বিপর্যয়ে দারুণ এক ইনিংস উপহার দিয়েছেন মোহাম্মদ মিথুন। একপ্রান্তে থিতু হয়ে ব্যাট করতে থাকেন তিনি। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের সঙ্গে অর্ধশত রানের জুটি গড়েন এই ব্যাটসম্যান। দেখে শুনে খেলে ৭৩ বলে ৫০ তুলে নিয়েছেন মিথুন।
তাঁকে ভালো মতই সঙ্গ দেন সাইফুদ্দিন। কিন্তু এই দুজনের জুটিতে বাধা হয়ে দাঁড়ান স্যান্টনার। ৪১ রানে সাইফুদ্দিনকে ফিরিয়ে তাঁদের ৮৪ রানের জুটি ভাঙ্গেন এই স্পিনার। এর খানিক পর ৯০ বলে ৬২ রান করা মিথুনকে বোল্ড করেন লকি ফারগুসন।
এরপর আর বেশীক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি নীচের সারির ব্যাটসম্যানরা। ২৩২ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ট্রেন্ট বোল্ট ৪০ রান দিয়ে ৩টি এবং স্যান্টনার ৪৫ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশঃ ২৩২ অল আউট (৪৮.৫ ওভার)
(সাইফুদ্দিন ৪১, মিথুন ৬২) (বোল্ট ৩/৪০)
নিউজিল্যান্ডঃ ২৩৩/২ (৪৪.৩ ওভার)
(গাপটিল ১১৭*, হ্যানরি ৫৩, টেইলর ৪৫; মাহমুদুল্লাহ ১/২৭)