বিদায় বেলায় তৃপ্ত মুশফিক

ছবি: ছবি- বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
সামর্থ্যের তুলনায় প্রাপ্তি বেশি হওয়ায় টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ার পরও হাসি মুখ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন মুশফিকুর রহিম। দল কাগজে কলমে ফেভারিট তকমা না পেলেও শেষ চারে জায়গা করে নেয়ার দৌড়ে এগিয়ে থেকেই গ্রুপ পর্ব শেষ করেছিল চিটাগং ভাইকিংস।
বেশ কিছু শেষ ওভারের ম্যাচে জয় করা ভাইকিংসদের জন্য এবারের বিপিএল ছিল স্বপ্নের মতন। অনভিজ্ঞ স্থানীয় ক্রিকেটাররাদের সাথে মাঝারি মানের বিদেশি ক্রিকেটার নিয়েই একের পর এক চমক দেখিয়ে এসেছে ভাইকিংসরা।
আসর জুড়ে রান করেছেন মুশফিক, ইয়াসিররা। ম্যাচ শেষ করে এসেছে রবি ফ্রাইলিঙ্ক। বল হাতে পারফর্ম করেছেন নাঈম হাসান, খালেদ আহমেদ, আবু জায়েদ রাহিরা। অথচ টুর্নামেন্টের শুরুতে কেউই ভাইকিংস স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে খুব একটা মাতামাতি করেনি।

বরং লাইমলাইটের বাইরে থাকার সুবিধা পেয়েছে চিটাগং। যার কারণে শেষ চারের লড়াইয়ে হারলেও নিজেদের প্রত্যাশা পূর্ণ করতে পারায় তৃপ্ত ভাইকিংস কাপ্তান মুশফিকুর রহিম। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন,
'টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দুই তিনজন ভালো খেললেই ফল পাওয়া যায়। আমাদের লক্ষ্য ছিলো সেরা চারে যাওয়ার। সেটা আমরা পেরেছি। আমাদের চাপও কম ছিলো। আমরা এই বিপিএলে একটু কিছু করে দেখাতে চেয়েছিলাম। আমার মনে হয় আমরা সেটা করতে পেরেছি। প্রথম দিকে আমরা ছয়টা ম্যাচ জিতে গিয়েছিলাম। আমাদের বিদেশি কালেকশন আরো একটু ভালো থাকলে আমাদের ফলটা আরো ভালো হতো। যেখানে আমরা শেষ করেছি, তাতে আলহামদুলিল্লাহ।'
বিপিএলে প্রায় প্রতিটি দলেই বিদেশি বড় তারকাদের আশা যাওয়া ছিল। ব্যতিক্রম ছিল চিটাগং ভাইকিংস। স্থানীয় ক্রিকেটারদের সাথে ক্যামেরন ডেলপোর্ট, মোহাম্মদ শেহজাদ, রবি ফ্রাইলিঙ্কদের মত ক্রিকেটারের কাছ থেকে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পারফর্ম আদায় করে নিতে পেরেছে মুশফিকের ভাইকিংস। পুরো আসরে ভাইকিংসের পারফর্মেন্স নিয়ে মুশফিকের মন্তব্য,
'আমাদের লাইনআপে এক্সপ্রেস বোলার বা হাইকোয়ালিটি বোলার ছিলো না। ভালো প্লেয়ার ছিলো। কিন্তু তারা ক্লিক করেনি। ডেলপোর্টও খুব ভালো খেলেছে। কিন্তু তারা ক্লিক করেনি। রবি ফ্রাইলিঙ্ক আশার চেয়ে অনেক বেশি ভালো খেলেছে। আমাদের স্থানীয়রা অনভিজ্ঞ। বিদেশিরা যদি আরো একটু ভালো খেলতো, তাহলে আমরা হয়তো ভালো করতে পারতাম।
'ঢাকার মতো উইকেটে আমাদের মতো দলের জন্য কঠিন হয়ে যায়। আর ওভারঅল বিপিএল… খুব ভালো হচ্ছে। অনেক প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ হচ্ছে। অনেক বিদেশি ক্রিকেটার এসেছে, খেলেছে। তাদের সাথে আমরা অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পেরেছি এবং অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।'