নিজের পারফর্মেন্সের গবেষণা করেন না মুশফিক

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

ব্যক্তিগত পারফর্মেন্স নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না মুশফিকুর রহিম। বিপিএলের ষষ্ট আসরে দারুণ সফল থাকার পরও আত্মতৃপ্তিতে ভুগতে চান না তিনি। বরং টুর্নামেন্টের বেশ কয়েকটি ম্যাচের মোড় বদলে ফেলার মুহূর্তে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পেরে খুশি ভাইকিংস কাপ্তান মুশফিক। 

এবারের বিপিএলে ১৩ ম্যাচে ৩৫ গড় ও ১৩৯ স্ট্রাইক রেটে ৪২৬ রান করেছেন, টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় দ্বিতীয়তে আছেন মুশফিক। অথচ বিপিএল শুরুর আগে কোন দলে খেলবেন মুশফিক, সেটা নিয়েও ছিল যথেষ্ট দোটানা। বিপিএল ড্রাফট শুরুর আগে এসে মুশফিককে দলে ভেড়ায় ভাইকিংস কর্তারা।

মিরপুরে ঢাকা ডাইনামাইটসের বিপক্ষে এলিমিনেটর ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, 'আমার পারফর্মেন্স নিয়ে আমার না আপনাদের বলা উচিত। আমি বেশি গবেষণা করি না। আমি শুধু চেষ্টা করি। অবশ্যই ইচ্ছা ছিল যে আজকের দিনটায় অবদান রাখার। 

'যেন একটা ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলতে পারি। তবে ওভারঅল আগের যে কোনো টুর্নামেন্টের তুলনায় একটু খুশি। কিছু কিছু জায়গা অনেক কঠিন অবস্থা ছিল, যেখান থেকে বের হয়ে আসা এবং নিজের কাছেই নিজেকে প্রমাণ করা যে আমি পারফর্ম করার যোগ্য। নিজের কাছে যেই যুদ্ধটা ছিল সেদিক থেকে একটু সন্তুষ্ট, বেশি না।'

বিপিএলের গত দুই আসরে ভালো সময় কাটে নি মুশফিকের। বরিশাল বুলস ও রাজশাহী কিংসের হয়ে ব্যক্তিগত ও দলগত ভাবে উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেনি মুশফিক ও তাঁর দল। তবে এবার ভাগ্য বদল হয়েছে। কাগজে কলমে গড়পড়তা দল নিয়েও শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে ভাইকিংস। এলিমিনেটর ম্যাচে ঢাকার কাছে পরাজয়ের অনুভূতি তিক্ত হলেও এবারের পারফর্মেন্স আগামীর জন্য আত্মবিশ্বাস যোগাবে।

'দলের ফলাফল খারাপ হলে স্বাভাবিকভাবে খারাপ লাগবেই। ব্যক্তিগত ভাবে ও দলের মালিক ও ম্যানেজমেন্টেরও খারাপ লাগবে। গত দুই বছর, এক বছর ছিলাম বরিশাল বুলসে, আরেক বছর ছিলাম রাজশাহী কিংসে, সেইবার কোয়ালিফাই করতে পারি নি। এটা ভালো অনুভুতি নয়। 

'আমি নিজের কাছে যেই প্রত্যাশা করি সেটাও পূর্ণ করতে পারি নি। এটা ভালো অনুভূতি নয়। এই বছর থেকে আমি আরেক বছর আরও বেশি রান করেছি। আমি খুব বেশি উৎফুল্ল না। বেশ কিছু জায়গা ছিল যেখানে ম্যাচের ফলাফল দুই দিকেই যেতে পারত, সেই সময় আমি ভালো করতে পেরেছি সেটা আমার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে পরের বছরে।'